রাহুলের বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন সোনিয়া গান্ধী
ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীকে মনোনীত করে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলকেই যোগ্য মনে করছেন পার্টির সদস্যরা। তবে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি ভেবে জানাবেন।
এর আগে শনিবার সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি পার্টির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্তে রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা নিযুক্ত করা হয়।
রাহুল বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে সোনিয়া গান্ধী বলেন, আপনাদের তাকেই (রাহুল) জিজ্ঞাসা করা উচিত।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলের ৯৯টি আসনে জয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকেই কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাহুল এ দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হবেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং নিজের কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সিডব্লিউসির সভায় রাহুলকে বিরোধীদলীয় নেতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাববেন। তখন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে মনে করিয়ে দেন, সিডব্লিউসি এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। পদটি তার গ্রহণ করা উচিত।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল সভার পর বলেন, ‘পৃথক একটি প্রস্তাবে সিডব্লিউসি রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে অনুরোধ করেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত যে, রাহুল গান্ধীরই বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া উচিত।’
প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় গত দুই নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ সালে লোকসভায় কেউ বিরোধী দলের নেতা ছিলেন না। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন জিততে হয়। গত দুই মেয়াদে কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো দলই তা পায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল এককভাবেই নয়, জোটগতভাবেও এগিয়েছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের দখলে এসেছে ২৩৩ আসন; যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট ১০০-এরও কম আসন পেয়েছিল। ২০১৯ সালে ৫২টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার এককভাবে ৯৯ আসনে জিতেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯ শতাংশ আসনে দলটি সাফল্য পেয়েছে। এবার কংগ্রেস ৯৯ আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে।