মোদি-অমিতের বিরুদ্ধে শেয়ারে বিনিয়োগ প্রভাবিত করার অভিযোগ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে বলে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবি’র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। এর আগে গত ৫ জুনও সেবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল।

বিজ্ঞাপন

দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি, ভুয়া বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। মঙ্গলবার আবার নতুন অভিযোগ তুলে সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগটিও করেছেন সাকেত।

সাকেতের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলেছিলেন মোদি ও অমিত শাহ। তাদের এই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোনও কারচুপি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি, ৩ জুন এবং ৪ জুন শেয়ার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার কারণে মোদি, শাহ বা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও সংস্থা মুনাফা লাভ করেছে কি না, তারও তদন্ত প্রয়োজন৷

বিজ্ঞাপন

মোদি বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়াবে যে হাঁফ ধরে যাবে।

এছাড়া অমিতও সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখার। তার বক্তব্য ছিল, ৪ জুনের পর বাজার চড়বে। বাস্তবেও বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদি সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল প্রকাশের দিন ৪ হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লাখ কোটি টাকা লোকসান হয়।

এর পরেই ৫ জুন সেবির দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। ভুয়া বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি তুলে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সাকেত।

তৃণমূল সাংসদের যুক্তি ছিল, লোকসভার শেষ দফার ভোটগ্রহণের পরেই বুথ-ফেরত সমীক্ষা বিজেপি তথা এনডিএ-র বিপুল আসনে জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল। ফলে এরপর পরেই গত ৩ জুন সেনসেক্স ২ হাজার ৫০০ পয়েন্ট ওঠে। অনেক লগ্নিকারী বিপুল মুনাফা করেছিলেন। কিন্তু ৪ জুন অর্থাৎ, ভোটের ফলের দিন সূচকটি ৪ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। ৩১ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয় লগ্নিকারীদের।

তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথ-ফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও সমীক্ষা করেছে। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা পেয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল তৃ়ণমূল। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীর ৩০ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়া নিয়ে এর আগে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটিকে নিশানা করেছিল কংগ্রেসও।