ভারত সফরকে ‘বড় সাফল্য’ বললেন মুইজ্জু
ভারত সফরকে ‘বড় সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে ভারতে এসেছিলেন মুইজ্জু। নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়া তার কাছে ‘সম্মানের’ বলেও জানিয়েছেন মুইজ্জু। অনুষ্ঠান শেষে দেশে ফিরে এবার ভারত-মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে নিজের মতামত জানালেন তিনি।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত রবিবারই দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন মুইজ্জু। রাষ্ট্রপতি ভবনে অতিথি ছিলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
মোদির পাশাপাশি ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন মুইজ্জু। এমনকি, রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের সময় মোদির পাশের আসনটিও বরাদ্দ ছিল তার জন্যই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, তারপর থেকেই এই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে।
অবশেষে সেই আলোচনাকে আরও ত্বরান্বিত করলেন মুইজ্জুর মন্তব্য। ভারত সফর নিয়ে বলতে গিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্ত হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুইজ্জু।
অনেকের মতে, বেশ কয়েক মাস ধরে ভারত-মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছিল, সেই পথ ধীরে ধীরে মসৃণ হতে চলেছে।
চীনপন্থী হিসাবে পরিচিত মুইজ্জু গত নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন। তারপর থেকেই দুই দেশের টানাপোড়েন শুরু হয়। শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর দাবি তোলেন। গত কয়েক দিনে সে দেশে সেনা সরিয়ে সাধারণ নাগরিকদের নিজ দেশে পাঠিয়েছে ভারত।
গত বুধবার মোদিকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন মুইজ্জু। দুই দেশের পাশাপাশি থেকে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।