সিকিমে ভূমিধসে নিহত ৬, আটকা পড়েছেন ১৫০০ পর্যটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে অন্তত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েছেন দেড় হাজার পর্যটক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিধসের কারণে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত মাঙ্গান জেলার লাচুং, লাচেনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সাংকালাংয়ে সেতু ধসে পড়ে মাঙ্গানের সাথে জংগু এবং চুংথাংয়েরও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা।

ভূমিধসের কারণে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভেসে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিও। উত্তর সিকিমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাঙ্গান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেম কুমার ছেত্রি জানান, পাকশেপ এবং আম্বিথাং গ্রামে তিনজন করে মারা গেছেন। পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাস্তুচ্যুতদের জন্য পাকশেপে ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

দুর্যোগ পরিস্থিতি নজর রাখছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। প্রশাসন, পুলিশ এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্রুত উদ্ধার কাজের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।

আগামী কয়েকদিন সিকিমে ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও বেশ কয়েকদিন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলে ২ হাজার পাউন্ডের ১৪ হাজার বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি বিধ্বংসী ২ হাজার পাউন্ডের বোমা এবং হাজার হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অস্ত্রের এই তালিকা সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার সূত্রে অবহিত করেছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, গত অক্টোবরে যুদ্ধের শুরুর দিকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১৪ হাজার বোমা, ৫০০ পাউন্ডের ৬,৫০০ বোমা, ৩ হাজার হেলফায়ার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র এবং এক হাজার বস্টার ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলেছেন, এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক আহ্বান এবং অস্ত্রের চালান থামানোর সাম্প্রতিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইসরায়েলকে যুদ্ধের রসদ নিয়মিতভাবেই সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্র চালানের বিষয়বস্তু গাজায় আট মাসের সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত সরবরাহ পুনরায় পূরণ করতে ইসরায়েলের যা যা প্রয়োজন, তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেছেন, ‘মার্কিন অস্ত্র চালানের তালিকাটি স্পষ্টভাবে ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রতিফলিত করে। তালিকাভুক্ত অস্ত্রশস্ত্রগুলো হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।’

তবে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস। ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসও তাৎক্ষণিক মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

;

ইসরায়েলের হামলায় রাফাহতে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণতম শহর পশ্চিম রাফাহতে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের তাঁবুতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শুক্রবার (২৮ জুন) জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আল-মাওয়াসি এলাকার তাঁবুতে গোলা নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়।

নিরাপত্তা সূত্রটি সিনহুয়াকে জানিয়েছে, ওই এলাকার কাছাকাছি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আতঙ্ক ও ভয়ে তাদের তাঁবু ছেড়ে খান ইউনিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, হামলার ফলে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। সকলকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আল-মাওয়াসি গাজা উপত্যকার কেন্দ্রে দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে পশ্চিম খান ইউনিস হয়ে রাফাহ শহরের পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত।

;

নেপালে ভূমিধসে ৯ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৯ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম টইমস অফ ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ অ্যান্ড রিডাকশন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মুখপাত্র ডিজান ভাট্টরাই জানিয়েছেন, কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে গুলমি জেলার মালিকা গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। ভূমিধসের সময় তারা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, ৫ জনের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে।

গুলমির পার্শ্ববর্তী স্যায়াংজা জেলার এক এলাকাতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ধসে গেছে। এ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এক নারী ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছেন।

এছাড়া গুলমির সীমান্ত লাগোয়া বাগলুং জেলায় আরেক ভূমিধসের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।

চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নেপালে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। তখন থেকে দেশটিতে ভূমিধস, বন্যা এবং বজ্রপাতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নেপালে বর্ষা মৌসুমে সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।

তবে বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা প্রায়ই দেখা যায়। আর প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে দেশটিতে প্রত্যেক বছর শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

;

রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামের একটি বাড়িতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এই হামলার কথা শনিবার (২৯ জুন) স্বীকার করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ।

এএফপির পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ড্রোনটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের একটি ছোট্ট গ্রাম গোরোদিশের একটি বাড়িতে আঘাত হানে।

কুরস্কের গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা ভীষন দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। সেখানে এ হামলায় পরিবারের আরো দুই সদস্য আহত হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।’

তিনি আরো বলেন, একটি কপ্টার স্টাইলের ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। এ ধরনের হামলার ক্ষেত্রে একটি ছোট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় যাতে করে গ্রেনেড বা অন্যান্য বিস্ফোরক বহন করে লক্ষ্যবস্তু উপর ফেলা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই উভয় পক্ষই পরস্পরকে ঘায়েল করতে ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।

এদিকে, এ বছর রাশিয়ার ভূখণ্ডে তাদের হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন। বিশেষ করে রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনার পাশাপাশি সীমান্তের ওপারের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম লক্ষ্য করে কিয়েভ বাহিনী এসব হামলা চালিয়ে আসছে।

;