ইউক্রেনের ৮৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া
রাশিয়া শুক্রবার (১৪ জুন) জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের ৮৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ৭০টি দক্ষিণ রোস্তভ অঞ্চলে হামলা চালাতে পাঠানো হয়েছিল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এই দক্ষিণ রোস্তভ অঞ্চলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সদর দপ্তর রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কিয়েভ সরকারের ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়টি আরও বলেছে, ‘রাশিয়া অঞ্চলের উপরে সবমিলিয়ে ৮৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। রোস্তভের উপরে ৭০টি ড্রোন, কুরস্ক এবং ভোরোনেজের উপরে ছয়টি এবং ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ভলগোগ্রাদ এবং বেলগোরড অঞ্চলে দুটি করে ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি গোলুবেভ টেলিগ্রামে বলেছেন, রোস্তভে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে হামলার ফলে বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আঞ্চলিক গভর্নর আলেকসান্ডার গুসেভ বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ভোরোনজে ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি জ্বালানী ভান্ডার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনকে পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছেন জি-৭ জোটের নেতারা। এসব দেশে জব্দ রুশ সম্পদের মুনাফা থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ঋণ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইতালিতে শুরু হওয়া শিল্পোন্নত সাত দেশের এই জোটের তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন এই সিদ্ধান্ত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সম্মেলনের প্রথম দিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জি-৭ এর সদস্য না হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বৈঠকে জোটটির সদস্য দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, জাপান, যুক্তরাজ্যের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জোটের অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনকে অতিরিক্ত প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে আমরা সম্মত হয়েছি।’
সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে উপস্থিত সব দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, এই বৈঠক থেকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পুনর্গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া তার দেশের আরও অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জোর দেন জেলেনস্কি।