যুক্তরাষ্ট্রে ৩১ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর নামে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ৩১ শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তুলে নেয় বলে জানা গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল অবৈধভাবে দখলে নিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এরপর ধীরে ধীরে তা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। ওই মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের হল ও ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এরপরও বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ না করায় হ্যামিল্টন হলের ভেতর পুলিশকে অভিযান চালানোর অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩০ এপ্রিল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪৬ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাদের ৩১ জনের বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ তুলে নেওয়া হলো।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের কেউ-ই আগে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছে ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয়। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে। যদিও এসব শিক্ষার্থীর সবাইকেই নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অব্যাহতি ও বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় গতকাল আদালতকে জানায়, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় ৩১ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার না এড়ালে আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও উঠিয়ে নেওয়া হবে।
তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ওই ১৪ জন। ফলে আগামী ২৫ জুলাই তাদের আদালতে উপস্থিত হতে হবে। তবে জেমস কার্লোস নামের বাকি একজনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ সময় প্রায় ১ হাজার ২০০ বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হন। গাজায় বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫৩ জনকে। এর জবাবে গাজায় পুরোদমে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বেসামরিক নাগরিক। গাজায় ইসারায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্যাম্পাসগুলো।