ধনকুবের হিন্দুজা পরিবারের ৪ সদস্যকে কারাদণ্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত হিন্দুজা পরিবারের ৪ সদস্যকে বেআইনিভাবে গৃহকর্মী নিয়োগ ও তাদের শোষণের অভিযোগে করার অভিযোগে কারদাণ্ড দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত। 

এরা হলেন, প্রকাশ হিন্দুজা, তার স্ত্রী কমল হিন্দুজা, তাদের সন্তান অজয় হিন্দুজা এবং তার স্ত্রী নম্রতা হিন্দুজা।

সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীদের পাসপোর্ট জব্দ, তাদেরকে অতিনিম্ন বেতন প্রদান এবং টানা ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত প্রকাশ ও কমল হিন্দুজাকে ৪ বছর ৬ মাস এবং অজয় ও নম্রতা হিন্দুজাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগও উঠেছিল, কিন্তু তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় সেই অভিযোগ থেকে এই চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় নিজেদের বিলাসবহুল বাসভবনের গৃহকর্মী হিসেবে ভারতের তিন নাগরিককে নিয়োগ দেয় হিন্দুজা পরিবার। এই গৃহকর্মীদের সরাসরি ভারত থেকে আনা হয়েছিল।

নিয়োগ দেওয়ার পরই ৩ জনের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। গৃহকর্মীদের প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করাতেন তারা এবং তাদের মাসিক মজুরি ছিল মাত্র ২৫০ ডলার, যা সুইজারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর ৫ ভাগের এক ভাগ।

পরে একসময় এই গৃহকর্মীরা হিন্দুজাদের বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হন। পরে জেনেভায় বসবাসরত ভারতীয় ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় আদালতে মামলা করেন তারা।

আদালতে বিচার চলার সময় শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে এজলাসে আসেননি ৭০ বছরের অধিক বয়সী প্রকাশ ও কমল হিন্দুজা দম্পতি। তাদের সন্তান অজয় হিন্দুজা ও তার স্ত্রী নম্রতা এজলাসে নিয়মিত হাজির থাকলেও শুক্রবার রায়ের দিন অনুপস্থিত ছিলেন তারা।

আদালত রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী ইয়াভেস বেরতোসা। অন্যদিকে হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী রবার্ট আসায়েল জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।

জেনেভা হলো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রাণকেন্দ্র। সেখানে চাকর-বাকরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বের ধনী পরিবারের বিরুদ্ধে জেনেভায় এটাই যে প্রথম বিচার এমন নয়। জাতিসংঘের জেনেভায় কূটনৈতিক মিশনে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছর ফিলিপাইনের চার গৃহকর্মী মামলা করেন। অভিযোগে বলেন, বছরের পর বছর ধরে তাদের বেতন দেয়া হয় না।

উল্লেখ্য, হিন্দুজা পরিবার বহুজাতিক হিন্দুজা গ্রুপের মালিক। এই গ্রুপটি গেল, গ্যাস এবং ব্যাংকিং খাতে কাজ করে। লন্ডনে র‌্যাফল হোটেলের মালিকও এই পরিবার।

ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়ে স্থায়ী হওয়া হিন্দুজা পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। নির্মাণ খাত, জাহাজসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা রয়েছে হিন্দুজা পরিবারের। সুইজারল্যান্ডেও তারা সবচেয়ে ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত।

এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এরদোয়ানের মন্ত্রিসভা

এরদোয়ানের মন্ত্রিসভা

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়। 

সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হতে পারে। একই সময়ে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।

তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক কামাল মেমিওলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেহমেতের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মেহমেতের আগে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুরাত কুরুম। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থীও ছিলেন।

;

ট্রাম্পের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের রায়, বাইডেনের সতর্কবার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ট্রাম্প মহাখুশি, অসন্তোষ বাইডেনের

ট্রাম্প মহাখুশি, অসন্তোষ বাইডেনের

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১ জুলাই) মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

আদালতের রায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাখুশি হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের ৬ জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন; বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। সেই অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেয়া, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে কয়েকটি মামলা চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাকে হারিয়ে জয় পান জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, ওই নির্বাচনের ফল বদলাতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলার পেছনেও উসকানি দিয়েছিলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে। এছাড়া জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও তার সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় ছিল। পরে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলের দিকে যাত্রা করতে সমর্থকদের দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশও এখতিয়ারের মধ্যে ছিল তার।

এর আগে, ৬ জানুয়ারির ঘটনা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ওই আবেদন খারিজ হয়। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের সেই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। একই সঙ্গে মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

আদালতের এই রায়ের বাইডেনের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যা ঘটেছিল, তা বদলে যাবে না।

বাইডেন এ প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের রাজায় পরিণত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের এই রায়ের অর্থ হলো ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেয়ার চেষ্টায় ট্রাম্পের যে ভূমিকা তার জন্য ৫ নভেম্বরের আগে তার বিচারকাজ হবে না। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা রাজায় পরিণত হতে পারেন। তবে আমেরিকায় কোনো রাজা থাকবে না, এই নীতিতে আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা প্রত্যেকেই আইনের চোখে সমান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নই। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নয়। কিন্তু আজকে আদালত যা করেছে তা একটি বিপজ্জনক নজির। কারণ এমন সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আর আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে নভেম্বরের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলাসংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না। আর তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এ মামলায় বিচার বন্ধের চেষ্টা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন।

সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, আমাদের গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য এটা একটা বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমি গর্বিত। 

;

আঘাত হানল হারিকেন 'বেরিল', বিদ্যুৎ বিভ্রাট-দুর্ভোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল প্রবল শক্তি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব অঞ্চলের বহু মানুষ। সেখানে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে এবং অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছে হারিকেন বেরিল। বাতাসের তীব্র বেগে সেখানকার বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এছাড়া অনেক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দরগুলোতে।

হারিকেন বেরিল গ্রেনাডার ক্যারিয়াকো দ্বীপে আছড়ে পড়েছে বলে মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে। শক্তিশালী এই হারিকেনটি গত কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং ওই অঞ্চলে আগেই প্রাণঘাতী বাতাস ও বিপজ্জনক ঝড়বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)-এর সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, হারিকেনটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪১ কিলোমিটার। ঝড়টি সেসময় আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল বলেও জানানো হয়।

এ পরিস্থিতে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডার জন্য হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে এবং জ্যামাইকার জন্য একটি হারিকেন ওয়াচ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি অঞ্চল টোবাগোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সোমবার থেকে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অল টোবাগো ফিশারফোক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কার্টিস ডগলাস বলেন, 'দ্বীপের পূর্ব দিকের অংশ সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং সাগরগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উপকূলে জেলেদের বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে এবং তারা তাদের নৌকাগুলোকে পানি থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।'

এদিকে সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, 'আমরা এখনও বিপদমুক্ত হইনি।'

এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রেনাডাও বেশ কিছু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে এবং এই আবহাওয়া ও অন্যান্য সতর্কতা সংক্রান্ত সরকারি আপডেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও মানুষকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

জ্যামাইকাতেও হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে, যার অর্থ এই অঞ্চলটিতে বুধবারের মধ্যে হারিকেন আঘাত হানতে পারে। সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনের প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস বলেছেন, এটি কোনও রসিকতা নয়। এসময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে অতীতের হারিকেনের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

;

ইসরায়েলের বিমানকে জ্বালানি না দিয়েই ফেরত পাঠাল তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের একটি যাত্রীবাহী বিমানকে প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল না দিয়েই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরের কর্মীরা।

সোমবার (১ জুলাই) ইসরায়েলের বিমানটি তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করলে এ ঘটনা ঘটে।

বিমানটিকে জ্বালানি তেল দিতে অস্বীকৃতি জানানোর মধ্য দিয়ে মূলত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে তুর্কি বিমানবন্দরের কর্মীরা।

জানা গেছে, এদিন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে তেল আবিবে যাচ্ছিল LY5102 বিমানটি। পথে একজন অসুস্থ যাত্রীর কারণে আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

এ সময় বিমানটির জ্বালানির প্রয়োজন হলে ইসরায়েলি বিমানে জ্বালানি সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানায় তুর্কি বিমানবন্দরের কর্মীরা। এ অবস্থায় বিমানটি জ্বালানি তেল নেওয়ার জন্য গ্রিসের উদ্দেশে উড়াল দেয়।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

এদিকে তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। সূত্রটি জানিয়েছে, মানবিক বিবেচনায় বিমানটিতে জ্বালানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে বিমানটির ক্যাপ্টেন নিজ ইচ্ছায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

;