গণমাধ্যমকর্মীদের ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি যুক্তরাষ্ট্রের
কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, সাংবাদিকদের তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বিবৃতি জারি করেছে। যদিও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এসব খবর গণমাধ্যমে খুব কমই প্রকাশিত হচ্ছে।নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ওসব দুর্নীতির খবর প্রায়শই উপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। এর আগে একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তারা পরিচিত দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারছে না। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে মিলার বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।
এদিকে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদনের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।