ইউক্রেন ইস্যুতে রুশ ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ফোনালাপ
ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) ফোনে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউক্রেনের অন্যতম কট্টর সামরিক সমর্থক, বিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়তা প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই চলমান যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে আসছে। জবাবে, ওয়াশিংটনকে সরাসরি শত্রুতায় জড়িত বলে অভিযুক্ত করে আসছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেলোসভ এবং অস্টিন ইউক্রেনের ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মত বিনিময় করেছেন।
কথোপকথনটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আন্দ্রেই বেলোসভ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে মার্কিন অস্ত্রের চলমান সরবরাহের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সমস্যা বাড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়েও দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডারও এক বিবৃতিতে বলেছেন, অস্টিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের মধ্যে যোগাযোগের লাইন বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ হওয়া বেলোসভের সঙ্গে অস্টিনের প্রথম ফোনালাপ।
ইউক্রেনের জন্য চলমান সামরিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেছে রাশিয়া এবং ওয়াশিংটন সম্প্রতি কিয়েভকে খরকিভ শহরের কাছে রাশিয়ার কিছু অংশে দূরপাল্লার মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অস্ত্র সরবরাহের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেছিল ক্রেমলিন।
এদিকে, ক্রিমিয়াতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলায় চারজন নিহত হওয়ার পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মস্কো।
রাইডার সেই সময় বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়।’
অন্যদিকে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে বলেছেন, ২০১৪ সালে মস্কো একতরফাভাবে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করেছে রাশিয়া, যা ইউক্রেনের অংশ।