লেবার পার্টি থেকে সাবিনার পদত্যাগ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবিনা আক্তার

সাবিনা আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের আগে এক নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলাদেশিদের কটাক্ষ করে তোপের মুখে পড়েছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার। তার কটাক্ষের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে দলটির ডেপুটি লিডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আক্তার। 

বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

পদত্যাগ করে সাবিনা আক্তার বলেছেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’ 

স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, বর্তমান সরকারের তেমন কোনো প্রক্রিয়া নেই। ক্ষমতায় এলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে লেবার নেতার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে। এ ছাড়া নিজ দলের নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম।

পরে অবশ্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে এক নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে স্টার্মার বলেন, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা যারা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখছেন, তাদের উদ্বেগ বা আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার মোটেও ছিল না।’

তিনি দাবি করেন, যদি লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে তিনি ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের ‘অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চান। 

এদিকে পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।’ 

সাবিনা আরও লিখেছেন, ‘আমি সারাজীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।’

স্টারমারের নিরঙ্কুশ জয়ে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্টারমারের নিরঙ্কুশ জয়ে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

স্টারমারের নিরঙ্কুশ জয়ে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাকের স্থলাভিষিক্ত হতে চলছেন কিয়ার স্টারমার। জয়ের জন্য এই লেবার নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে ভারত-যুক্তরাজ্যের ইতিবাচক সম্পর্ক ধরে রাখতে কিয়ের স্টারমারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে এই শুভেচ্ছাবার্তা জানান নরেন্দ্র মোদি। অন্য এক বার্তায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকেও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এক্সে নিজের ভেরিফাইড একাউন্ট থেকে মোদি লিখেন, ‘যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে স্মরণীয় বিজয়ের জন্য কিয়ের স্টারমারকে আন্তরিক শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন। সকল ক্ষেত্রে ভারত-যুক্তরাজ্যের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা এবং আমাদের পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্ক বৃদ্ধি কামনা করছি।’

অন্য এক এক্স বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে তার প্রশংসনীয় নেতৃত্ব এবং দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।

মোদি লিখেন, ‘ধন্যবাদ ঋষি সুনাক, যুক্তরাজ্যের প্রশংসনীয় নেতৃত্বের জন্য এবং ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে আপনার সক্রিয় অবদানের জন্য। আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা।’

;

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি কিয়ের স্টারমার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কিয়ের স্টারমার

কিয়ের স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ১৪ বছর পর লেবার পার্টি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় আসায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ের স্টারমার। ক্ষমতায় এলেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লেবার পার্টি তাদের ইশতেহারে বলেছিল, ‘আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলে একটি টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েলসহ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিসহ সমস্ত জিম্মি মুক্তি ও গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চায় লেবার পার্টি। এ সংঘাতের সমাধানের পক্ষে যুক্তরাজ্য।’ 

এদিকে হামাস ইসরায়েল সংঘাত ইস্যুতে গত বছর নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন স্টারমার। 

তবে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়ানোর প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে।

এ সময় আত্মরক্ষার নামে পরিচালিত ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলেও আখ্যা দেননি তিনি। 

লেবার পার্টির এই নেতা আরও বলেন, ইসরায়েলসহ প্রতিটি দেশকে আন্তর্জাতিক আইনের আদালতে যথাযথভাবে জবাবদিহি করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা উচিত কিনা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি। 

;

দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজির স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের মামলায় শুক্রবার (৫ জুলাই) মাদ্রিদের একটি আদালতে হাজির হয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই কেলেঙ্কারির কারণে তার স্বামী পেদ্রো সানচেজ গত এপ্রিলে পদত্যাগ করার কথা ভেবেছিলেন।

ব্যবসায়িক লেনদেনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসাবে তার অবস্থান ব্যবহার করেছিলেন কিনা তার প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসাবে শুক্রবার আদালতে হাজিরা দিতে হয় বেগোনাকে।

বেগোনা কিংবা তার আইনজীবী কেউই বিচারকের সামনে উপস্থিতির আগে আদালতের বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এদিকে, বিচারক শুনানি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই শুনানি স্থগিত করে আগামী ১৯ জুলাই শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বারবার এবং জোরালোভাবে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই মামলা ভিত্তিহীন এবং ডানপন্থী রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা পরিচালিত।

বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মানোস লিম্পিয়াস, মানে ক্লিন হ্যান্ডস, মিগুয়েল বার্নাডের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী কর্মীদের একটি গ্রুপ।

এদের মধ্যে একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ ইউরোপীয় নির্বাচনে একটি অতি-ডান দলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন।

মানোস লিম্পিয়াস বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সের জন্য স্পনসরদের সুরক্ষিত করার জন্য তার প্রভাব ব্যবহার করেছেন বেগোনা।

;

হাথরসের মৃতদের পরিবারের পাশে রাহুল গান্ধী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের কয়েকজনের পরিজনের সঙ্গে শুক্রবার (৫ জুলাই) সাক্ষাৎ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

সেখানে রাহুল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হবেন তিনি। এদিকে, হাথরসে না গিয়ে দিল্লিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস।

তারপরে রাহুলের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাহুল শুক্রবার সকালে প্রথম আলিগড়ের নভিপুর খুর্দ এবং পিলাখনা গ্রামে যান। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত শান্তি দেবী ও মঞ্জু দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর হাথরসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

মৃতদের পরিবারের সদস্যরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল তাদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বিষয়টি আমি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই না। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। এই দরিদ্র পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হাথরসের মুগলগঢ়িতে একটি সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি।

হাথরসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।

কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণেই এই দুর্ঘটনা।

হাথরসকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত ছয় জন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা সকলেই সৎসঙ্গের সেবক ছিলেন। তবে মূল অভিযুক্ত মুখ্য সেবক দেবপ্রকাশ মধুকরের খোঁজ মেলেনি এখনো।

;