দিল্লিতে ৮৮ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা

দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পেলেও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের এই রাজধানী শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার জবলপুরের ডুমনা বিমানবন্দরের ছাদের একাংশও ভারি বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচে সম্প্রতি এই বিমানবন্দরটির সংস্কার করা হয়েছিল। গত ১০ মার্চ বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির পথঘাট। সেই পথেই চলছে যানবাহন। দিল্লিতে মৌসুমি বৃষ্টিতে অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

শুক্রবার দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুক্রবার ( সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৩৬ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ৮৮ বছর আগে ১৯৩৬ সালে ২৩৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। 

এছাড়াও টানা বৃষ্টি দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। পানি জমে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও।

তারপরও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআই যেসব ভিডিও প্রকাশ করেছে এক্সে, তাতে দেখা যায় রাস্তাগুলো পানির নিচে। দিল্লিতে ভয়াবহ যানজট।

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া, একটি ব্যর্থ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে একটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও আরেকটি ব্যর্থ হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার পর, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিন পর এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) এবং দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উড়েছিল, তবে তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন ব্রিফিংয়ে বলেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সমস্যা ছিল এবং এটি বিস্ফোরিত হলে এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়বে।

সোমবারের লঞ্চগুলি পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম ছিল এবং

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের যৌথ মহড়ার পর উত্তর কোরিয়া থেকে এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

পিয়ংইয়ং সাধারণত এই ধরনের কার্যক্রমকে আগ্রাসন বা অন্যদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করে।

সিউলের ইওয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক গবেষণার অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইজলি তার ইমেলে করা এক মন্তব্যে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছে, তখন পিয়ংইয়ং নিজেকে দুর্বল না দেখাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গত বুধবার অত্যাধুনিক একাধিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ দাবি মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছে।

;

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ

আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ডেমি নেগারা নামে একটি দল। তারা প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন সেরি পেরদানা কমপ্লেক্সের কাছে একটি গাড়ি পার্কে ‘জনগণের সমাবেশ’ নামে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল সূত্রে জানা যায়, কালো পোশাক গায়ে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারীর বেশিরভাগই মালয়। তাদের দাবি পূরণ না হলে আনোয়ারের নির্বাচনি এলাকা তাম্বুন, পেরাক রাজ্যে ৩০ দিনের মধ্যে আরেকটি বিক্ষোভের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

কেন এ বিক্ষোভ করছে তারা এবিষয়ে প্রশ্ন করা হয় কিছু বিক্ষোভকারীকে। তারা জানিয়েছে, আনোয়ারের সরকার ১৮ মাস ক্ষমতায় থাকার পরে জনসাধারণের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তাদের দাবিগুলো হলো- ডিজেল ও গ্যাসের দাম কমানো, দাম না বাড়িয়ে স্থানীয় চালের সরবরাহ করা এবং চাষিদের দুর্দশা থেকে রক্ষা করা, অবদানকারীদের কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল (ইপিএফ) থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমতি ফিরিয়ে দেওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি কমানো, জনস্বাস্থ্য কর্মীদের অধিকার রক্ষা করা ও স্বাস্থ্য সেবার অবকাঠামো উন্নত করা এবং জনস্বাস্থ্য সেবার বেসরকারিকরণ বাতিল করা, বিরোধী সংসদ সদস্যদের জন্য সমপরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া, সবার জন্য বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কে দেশটির আর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে বাধা দেওয়া।

মালয়েশিয়ার পুলিশ এবং দি এজ জানিয়েছে, আনোয়ার বিরোধী সমাবেশের সংগঠক ও ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

;

ভারতে ব্রিটিশ আমলের ৩ আইনের পরিবর্তন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বদলে যাবে ভারতীয় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা

বদলে যাবে ভারতীয় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করে যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম নামে নতুন আইন কার্যকর করেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। 

ফলে, সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভারতীয় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বদলে যাবে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ব্রিটিশ আমলের তিনটি আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবি, দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং বর্তমান যুগের অপরাধের নতুন নতুন ধরনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন আইনে বিচার কার্যক্রম শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে রায় এবং প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট গঠনের কথা বলা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশের সবার জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এসব পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইনের ধারা যথাযথ প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণ ও ফরেনসিক টিমের প্রয়োজন হবে। সাত বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের অপরাধের জন্য ফরেনসিক টিমের পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণধর্ষণ, গণপিটুনিতে হত্যা, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং অন্যান্য অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিধান করা হয়েছে। এটি সারা দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়াবে। আর তাদের জোগান দেবে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি।

তবে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো বলছে, মোদি সরকার তাড়াহুড়ো করে নতুন আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব আইন কার্যকর করার আগে আরও পরামর্শের প্রয়োজন ছিল।

;

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির জয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে জরিপ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঋষি সুনাক ও কিয়ার স্টার্মার

ঋষি সুনাক ও কিয়ার স্টার্মার

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৪ জুলাই। আর মাত্র ৩ দিন পরেই ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে দেশটির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির। ব্রিটিশ ভোটাররা বেছে নিতে চলেছেন তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে। 

তবে, এবারের নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টি ঐতিহাসিক জয় এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বিশাল ভরাডুবির পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রায় সবগুলো জরিপ।

জরিপ বলছে, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ঐতিহাসিক জনসমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হতে চলেছেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার। বিপরীতে, প্রায় ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেতে পারে ঋষি সুনাকের দল। কনজারভেটিভদের ১৪ বছরের দীর্ঘ শাসনে ভোটাররা যে অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন, তা জরিপের পূর্বাভাসগুলোতেই যেন স্পষ্ট।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪২২ থেকে ৪৫৬টি আসন পেতে পারে লেবার পার্টি। বিপরীতে, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে তারা ৭২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০টি আসনে জয়ের দেখা পেতে পারে, যা তাদের বর্তমান আসন সংখ্যা থেকে অনেক কম।

ফ্রান্সভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইপসসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ব্রিটিশ নির্বাচনে ৪৫৩ আসনে জিতে ইতিহাস গড়তে চলেছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, কনজারভেটিভরা পেতে পারে বড়জোর ১১৫ আসন। এই পূর্বাভাস সত্য হলে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরবে স্টার্মারের দল।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ‘পাকি’ সম্বোধন করেছে ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে দলের একজন সমর্থক। এতে চরম ক্ষেপেছেন সুনাক। ঘটনাটি একটি নিউজ চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে। একজন নির্বাচনি প্রচারণাকারীর রেকর্ড বক্তব্যে শোনা যায়, সুনাককে ‘পাকি’ সম্বোধন করছেন তিনি। ‘পাকি’ শব্দটি একটি অবমাননাকর শব্দ যা দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহার হয়ে থাকে।

প্রথমত, সুনাক ব্রিটেনের জাতিগত সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কষ্টদায়ক। এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি।’

সুনাক আরও বলেন, ‘আপনি যখন রিফর্ম প্রার্থীদের এবং প্রচারণাকারীদের বর্ণবাদী এবং অপ্রীতিকর ভাষা ব্যবহার করতে দেখবেন তখন আপনার মনে সংস্কার পার্টির সংস্কৃতি সম্পর্কেই খারাপ ধারণা হবে।’ 

;