লাদাখের চীন সীমান্তে ৫ ভারতীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লাদাখ

লাদাখ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লাদাখে চীন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে তারা নিহত হন। 

ভারত সরকার বলছে, লাদাখের লেহের দৌলত বেগ অল্ডি এলাকায় রাত ১টার দিকে সেনা মহড়ার সময় একটি নদী পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ সেনা মারা যান। তারা একটি ট্যাঙ্কের ভেতর ছিলেন।

শনিবার (২৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনারা প্রশিক্ষণে ছিলেন। তারা বোধি নদী অতিক্রম করছিলেন। এসময় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তাদের ট্যাঙ্ক ডুবে যায়। এ ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 



ভূমিকম্পে কাঁপল ইকুয়েডর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

  • Font increase
  • Font Decrease

ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ভূমিকম্পের আঘাতে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

রাজধানীর বাসিন্দারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় এবং বেশকিছু এলাকার দেয়ালে ফাঁটল দেখা গেছে। 

সোমবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জানিয়েছে, সোমবার আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে ৫.৬ কিলোমিটার গভীরে এবং রাজধানী কিতো থেকে এর দূরত্ব ছিল ৮.৪৯ কিলোমিটার।  

ইকুয়েডর জরুরি সেবা বিভাগ প্রকাশিত ভূমিকম্পের ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। 

কিতোর মেয়র পাবেল মনোজ এক্স পোস্টে জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাজধানী কিতোর কিছু এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হন। তবে, এয়ারপোর্ট, মেট্রো, ল্যান্ডফল এবং পানি উৎপাদনের প্ল্যাটের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চে ইকুয়েডরে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলে এতে ১৫ জন মানুষ নিহত হয়।

;

কর্মী ধর্মঘটে কানাডায় ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মী ধর্মঘটের কারণে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট ৮০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে কানাডা দিবসের লম্বা ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ তাদের সফর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সোমবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে

ক্যালগারিভিত্তিক এয়ারলাইন এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) শ্রমিকদের কাজের অবস্থা এবং বেতনের চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।

বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেটের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ডিডেরিক পেন রোববার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাজ বন্ধ রাখায় ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

পেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য পূরণ করে না।

ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যার অর্ধেকেরও বেশি রোববারের জন্য নির্ধারিত ছিল।

এয়ারলাইনটি বলেছে, রোববার পর্যন্ত তাদের ১৮০টি বিমান বহরের মধ্যে ৩২টি সক্রিয় রয়েছে।

ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে অপরের বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

এএমএফএ যুক্তি দিয়েছে, তাদের চাওয়া-পাওয়া মজুরি বৃদ্ধির জন্য ওয়েস্টজেটকে ৮ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের কম খরচ হবে, যা কোম্পানি তাদের চুক্তির প্রথম বছরের জন্য প্রস্তাব করেছে।

ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।

এ কর্মবিরতির কারণে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারীর পরিকল্পনাকে ব্যাহত করেছে। বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রম মন্ত্রী সিমাস দুই পক্ষের এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাধ্যতামূলক বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।

;

গাজায় আন্তর্জাতিক প্রশাসন মানবে না ফিলিস্তিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক বাহিনী দ্বারা গঠিত প্রশাসনের ইসরায়েলি প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসন। 

রোববার (৩০ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা গাজায় কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রশাসন মেনে নেবে না। 

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য দিয়েছে।

প্রেসিডেন্টের সরকারি মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা নেই। শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন সরকার তাদেরকে শাসন করবে এবং কারা তাদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় থাকবে যতক্ষণ না সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজা শাসনের ভার নেবে। মূলত ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই গাজার শাসন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের ওই মুখপাত্র।

উপনিবেশ অবৈধ হলেও ইসরায়েল তা গাজায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু রুদেইন।

তিনি বলেন, ‘তারা সাধারণ জনগণকে বাস্তুচ্যুত এবং হত্যা করে সেখানে (গাজায়) দখলদারি স্থায়ীত্বের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোনোভাবেই আমাদের ভূখণ্ড বিদেশি শক্তির হাতে ছেড়ে দেব না, সেটা পশ্চিম তীর হোক বা গাজা হোক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া না দেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এটি সমগ্র আরবের একটি বিষয় বলে মনে করেন ফিলিস্তিনি ওই মুখপাত্র।’  

গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

;

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া, একটি ব্যর্থ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে একটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও আরেকটি ব্যর্থ হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার পর, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিন পর এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) এবং দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উড়েছিল, তবে তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন ব্রিফিংয়ে বলেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সমস্যা ছিল এবং এটি বিস্ফোরিত হলে এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়বে।

সোমবারের লঞ্চগুলি পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম ছিল এবং

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের যৌথ মহড়ার পর উত্তর কোরিয়া থেকে এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

পিয়ংইয়ং সাধারণত এই ধরনের কার্যক্রমকে আগ্রাসন বা অন্যদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করে।

সিউলের ইওয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক গবেষণার অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইজলি তার ইমেলে করা এক মন্তব্যে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছে, তখন পিয়ংইয়ং নিজেকে দুর্বল না দেখাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গত বুধবার অত্যাধুনিক একাধিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ দাবি মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছে।

;