বাইডেন সরে দাঁড়ালে কে হবেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন/ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রথম বিতর্কে ভালো করতে না পারায় খোদ নিজের দলেই সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জো বাইডেন। তার বিকল্প খুঁজছে ডেমোক্র্যাটরা বলে খবর চাউর হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেউই প্রথম বিতর্কে চমক দেখাতে না পারলেও তুলনামূলকভাবে বেশি খারাপ করেছেন বাইডেন।

৮১ বছর বয়সী বাইডেনের সমর্থকরা আশা করেছিলেন, বিতর্কে তিনি তার বয়স নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ দূর করতে পারবেন। কিন্তু তা হয়নি। উল্টো বল গেছে ট্রাম্পের কোর্টে।

এ নিয়ে বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছেন, বাইডেনের বিতর্কে ভাল করতে না পারাটা তার প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে নির্বাচনী দৌড়ে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ফলে নানা ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়েও ট্রাম্পের আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পট প্রস্তুত হয়েছে।

ইউরোপ, এশিয়াসহ বিশ্বের অন্য আরও জায়গায় ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফেরার বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ, ট্রাম্প এর আগে ক্ষমতায় থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বের দেশগুলোর সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গেছে প্রায়ই, বলেন তারা।

বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করায় জো বাইডেনকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদ। প্রভাবশালী গণমাধ্যমটিতে শুক্রবার (২৮ জুন) প্রকাশিত এক মতামত কলামে এ আহ্বান জানানো হয়।

সম্পাদক পরিষদ বলেছে, প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন তিনি। হিমশিম খেয়েছেন মি. ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

চারদিক থেকে এমন সমালোচনার পরও হাল ছাড়তে রাজি নন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, তিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন। শুক্রবার (২৮ জুন) নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি র‍্যালিতে অংশ নিয়ে বাইডেন বলেন, আমি জানি, আমি তরুণ নই। আমি আগে যেমন সহজেই হাঁটতে পারতাম এখন আর তা পারি না। আমি আগের মতো ভালো বিতর্ক করতে পারিনি। কিন্তু আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয় এবং কীভাবে কাজ করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি জয়ী হতে চাই। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আরও চার বছর আমি মার্কিন শাসনভার রক্ষা করতে পারব।

তখন উচ্ছ্বসিত জনতা উচ্চস্বরে স্লোগান দিতে থাকে, ‘আরও চার বছর, আরও চার বছর’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’।

এদিকে বাইডেনের বিতর্ক নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, হ্যাঁ শুরুটা ধীরগতি ছিল তবে শেষটা জোরালো হয়েছে। টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন বাইডেন ছোট এবং ধীর গতিতে মঞ্চে আসেন। তাকে বিতর্ক করার সময় প্রায় ডেস্কে হাত ধরে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বিতর্কের সময় নির্দিষ্ট প্রসঙ্গের জবাব না দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছেন।

সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান রোডনি ডেভিস বলেছেন, বিতর্কটি ছিল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিষ্কার জয়’। আমেরিকাজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক যে বিতর্কের ধরণটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে।

ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে শীর্ষে রাখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হবেন তিনি। তবে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও আলোচনায় থাকবেন, যারা আগে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর প্রচার চালাতে পারবেন।

বাইডেনের বিকল্প বিবেচনা করার মতো আরেকটি গ্রুপ রয়েছে, ‘সুপার ডেলিগেটস’। প্রায় ৭০০ জন সিনিয়র নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের একটি দল। তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভেনশনে প্রতিনিধি হয়। সাধারণত দলীয় নিয়মের অধীনে তারা প্রথম ব্যালটে ভোট দিতে পারেন না। তবে তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারেন। তারা পরবর্তী ব্যালটে ভোট দিতে পারেন।

তবে সত্যি যদি নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তবে এ সংকট কাটানোর জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের কিছুটা ভিন্ন কৌশল রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা এক্ষেত্রে পার্টির চেয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী কনভেনশনের পর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষমতা ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটিকে দেওয়া হয়।

প্রবল বৃষ্টির পর রাস্তায় ৮ ফুট লম্বা কুমির, ভিডিও ভাইরাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই বৃষ্টির মধ্যে এক অদ্ভুত দৃশ্যের দেখা মিলেছে দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশে। ভারী বৃষ্টিপাতের পর মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় রাস্তায় একটি বিশাল আকারের কুমিরকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

সোমবার (১ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যম জি টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বৃষ্টিপাতের পর মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় রাস্তায় একটি ৮ ফুট লম্বা কুমিরকে চলাচল করতে দেখা যায়। গাড়িতে বসে থাকা এক যাত্রীর তোলা একটি ভিডিওতে চিপলুনের রাস্তায় এই সরীসৃপটিকে হাঁটতে দেখা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, কুমিরটি নিকটবর্তী শিব নদী থেকে উঠে এসেছিল। বৃষ্টির কারণে কুমিরটি ভেসে এসেছে বা নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে সড়কে এসেছে বলেও অনেকে ভাবছেন। এই নদীতে অনেক কুমিরের বসবাস রয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় এলাকাবাসীকে কুমির সম্পর্কে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে এবং কোথাও কুমির দেখতে পেলে কর্তৃপক্ষকে খবর দিতে বলা হয়েছে।

৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বর্ষণমুখর রাতের রাস্তায় কুমিরটি হেঁটে বেড়াচ্ছে। সোমবার এই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এর আগে ২০১৯ সালে রত্নাগিরিতে এরকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন ৮ ফুট লম্বা একটি কুমিরকে লোকালয়ে দেখা গিয়েছিল। পরে উদ্ধারকারী দল চিপলুনের পর্যটন কেন্দ্রে ড্রেন থেকে সরীসৃপটিকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, রত্নাগিরি ভারতবর্ষীয় কুমিরের জন্য পরিচিত। নোনা জল এবং ঘড়িয়াল কুমির ব্যতীত এটি ভারতের তিনটি কুমির প্রজাতির মধ্যে একটি।

;

প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি চীনের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চীনের সামরিক বাহিনী

চীনের সামরিক বাহিনী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন এখন দৃশ্যমান। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, অপরদিকে চীনের নেতৃত্বে রোড অ্যান্ড বেল্ট উদ্যোগসহ একাধিক বৈশ্বিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে। এমন সময় চীনের প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির খবর দেশটির যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দশকব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে খবর চীনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েই ফেংহেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এনিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উচ্চপদে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র সাত মাস দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফুকে এবং পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালে সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়েই ফেংহেকে। ইতোমধ্যে দুর্নীতির তদন্তের পর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েই ফেংহেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দেশটির সেনাবাহিনী করছে বলে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেইজিংয়ের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

সিএনএন জানায়, গত গ্রীষ্মের পর থেকে চীনের প্রতিরক্ষা বিভাগে শুদ্ধি আভিযানে বাদ যাওয়াদের মধ্যে এই দুজনই সবচেয়ে বড় মাথা। এছাড়াও সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স থেকে এক ডজনেরও বেশি সিনিয়র জেনারেল এবং নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন এবং বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলো দখলে আনতে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন একটা সময় প্রতিরক্ষায় দুর্নীতিকে চীনের দুর্বল দিকই ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারাভিযান সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ স্তরের এমন দশা দুর্নীতি প্রতিরোধে বাধার হয়ে দাঁড়ায়।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের একজন গবেষণা ফেলো জেমস চার বলেছেন, যদিও শি জিনপিং দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এটি কঠিন, তাই দুর্নীতি অব্যাহত থাকবে।

অস্ত্র সংগ্রহে দুর্নীতি

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-পিএলএ-কে যুদ্ধের জন্য বিশ্বমানের শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিং সরঞ্জাম কেনা এবং আধুনিক করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢেলেছে। শিং জিনপিং রকেট ফোর্স তৈরি করেছেন, এটি এমন একটি অভিজাত শাখা যা দেশের দ্রুত সম্প্রসারিত পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তদারকি করে।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েইসহ গত বছর ব্যাখ্যা ছাড়াই বরখাস্ত বা নিখোঁজ হওয়া বেশিরভাগ জেনারেলই রকেট ফোর্স বা সামরিক সরঞ্জামের সাথে যুক্ত ছিলেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু পাঁচ বছর পিএলএ এর সরঞ্জাম উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ছিলেন। পিএলএ সদর দফতরে পদায়ন হওয়ার আগে ৬৬ বছর বয়সী লি চীনের রকেট এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে কয়েক দশক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কাটিয়েছেন। তিনি একজন প্রকৌশলীও।

৭০ বছর বয়সী ওয়েই রকেট ফোর্সের উদ্বোধনী কমান্ডার ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের শেষের দিকে পিএলএ আসার আগে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন সেকেন্ড আর্টিলারি কর্পস ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীতে। রকেট ফোর্সে ওয়েই এর দুই উত্তরাধিকারীকেও আভিযানে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ঘোষণার পর লির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো স্পষ্টভাবে অস্ত্র সংগ্রহে দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে।

চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ নেওয়া, দেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি লির বিরুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম খাতের নিয়মকানুনে মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগও আনা হয়েছে।

মার্কিন পেন্টাগনের অর্থায়নে চলা ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র গবেষক জোয়েল উথনো বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলো যে অস্ত্র তৈরি করে তার সঙ্গে পিএলএর সংগ্রহ ব্যবস্থার মধ্যে যোগসাজশ নির্দেশ করে। আমরা জানি কিছু যোগসাজশ আছে, কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় - এবং সিসিপি এটা স্বীকার করবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব অস্ত্র কেনায় দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেসব অস্ত্র যদি নিম্নমানের প্রমাণিত হয়, তা হবে শিং জিনপিংয়ের জন্য ভয়ংকর খবর। কারণ তখন কেবল নৈতিকতা নয়, প্রকৃত সামরিক প্রস্তুতি নিয়েও সন্দেহ তৈরি হবে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, পিএলএ-র ক্রয় ব্যবস্থায় সমস্যা বহু বছরের পুরোনো।

২০১৮ সালে চীনের নেভাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাডিতে দেখা গেছে, নৌবাহিনীর সরঞ্জাম সংগ্রহ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন পিএলএ এর সরঞ্জাম সংগ্রহে বিড কারচুপির বিশ্লেষণ করেছে। তারা তখন পিএলএ এর বিডিং ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

;

ভূমিকম্পে কাঁপল ইকুয়েডর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

  • Font increase
  • Font Decrease

ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ভূমিকম্পের আঘাতে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

রাজধানীর বাসিন্দারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় এবং বেশকিছু এলাকার দেয়ালে ফাঁটল দেখা গেছে। 

সোমবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জানিয়েছে, সোমবার আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে ৫.৬ কিলোমিটার গভীরে এবং রাজধানী কিতো থেকে এর দূরত্ব ছিল ৮.৪৯ কিলোমিটার।  

ইকুয়েডর জরুরি সেবা বিভাগ প্রকাশিত ভূমিকম্পের ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। 

কিতোর মেয়র পাবেল মনোজ এক্স পোস্টে জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাজধানী কিতোর কিছু এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হন। তবে, এয়ারপোর্ট, মেট্রো, ল্যান্ডফল এবং পানি উৎপাদনের প্ল্যাটের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চে ইকুয়েডরে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলে এতে ১৫ জন মানুষ নিহত হয়।

;

কর্মী ধর্মঘটে কানাডায় ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মী ধর্মঘটের কারণে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট ৮০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে কানাডা দিবসের লম্বা ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ তাদের সফর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সোমবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে

ক্যালগারিভিত্তিক এয়ারলাইন এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) শ্রমিকদের কাজের অবস্থা এবং বেতনের চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।

বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেটের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ডিডেরিক পেন রোববার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাজ বন্ধ রাখায় ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

পেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য পূরণ করে না।

ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যার অর্ধেকেরও বেশি রোববারের জন্য নির্ধারিত ছিল।

এয়ারলাইনটি বলেছে, রোববার পর্যন্ত তাদের ১৮০টি বিমান বহরের মধ্যে ৩২টি সক্রিয় রয়েছে।

ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে অপরের বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

এএমএফএ যুক্তি দিয়েছে, তাদের চাওয়া-পাওয়া মজুরি বৃদ্ধির জন্য ওয়েস্টজেটকে ৮ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের কম খরচ হবে, যা কোম্পানি তাদের চুক্তির প্রথম বছরের জন্য প্রস্তাব করেছে।

ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।

এ কর্মবিরতির কারণে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারীর পরিকল্পনাকে ব্যাহত করেছে। বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রম মন্ত্রী সিমাস দুই পক্ষের এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাধ্যতামূলক বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।

;