যুক্তরাজ্যে নির্বাচন আজ, ক্ষমতায় আসতে পারে লেবার পার্টি 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রচারণায় লেবার পার্টির স্টার্মার

প্রচারণায় লেবার পার্টির স্টার্মার

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে আগামী পাঁচ বছর কারা ক্ষমতায় থাকবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোট দেবে দেশটির নাগরিকরা। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের অবসান হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন জরিপে।

জরিপকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভেশন বলছে, কিয়ার স্টার্মারের লেবার পার্টি ৬৫০টির মধ্যে ৪৮৪টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। যদিও ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল ও প্রধান বিরোধী লেবার পার্টি ছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টিসহ অর্ধশতাধিক দল অংশ নিচ্ছে।

সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে গত ২২ মে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

জনমত নিজেদের দিকে টানতে নির্বাচনি ইশতেহারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলগুলো। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যু এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

জরিপে এগিয়ে থাকা লেবার পার্টির স্টার্মার প্রচারণায় বলে আসছেন, ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতি পুনর্গঠন, স্বাস্থ্যসেবা গতিশীল করা, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় না পাঠিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে। কনজারভেটিভদের ১৪ বছরের বিশৃঙ্খল শাসনামলের অবসান ঘটাতে লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে নির্বাচনের আগের দিন বুধবার (৩ জুলাই) কনভারজেটিভ পার্টির নেতা মেল স্ট্রাইড বলেন, জনমত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন মেল স্ট্রাইড।

জয়ের বিষয়ে আশাবাদী সুনাক বলেন, তিনি প্রতিটি ভোটের জন্য কঠিন লড়াই করছেন। তিনি দাবি করেন, এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ এই নির্বাচনে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, এমন বিশ্লেষণও দেখেছেন তিনি।

নির্বাচনের ফলাফলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে সুনাক বলেন, ‘অবশ্যই আমি দায়িত্ব নেব, কারণ আমি দলের নেতা।’

এবারের নির্বাচনে বর্তমান এমপি রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও আফসানা বেগম লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া আরো ৩০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। 

ফিলিপাইনের সমুদ্রসীমায় ‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক সমু্দ্রসীমার মধ্যে দানব আকৃতির জাহাজ নোঙর করেছে চীনা কোস্টগার্ড। এমনটিই দাবি করছেন ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের (পিসিজি) মুখপাত্র জে টেরিয়েলা।

শনিবার (৭ জুলাই) একটি সংবাদমাধ্যমকে টেরিয়েলা বলেন, ‘মঙ্গলবার (২ জুলাই) ১৬৫ মিটার দীর্ঘ চীনা জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলার অর্থনৈতিক সমদ্রসীমার (২০০ নটিক্যাল মাইল) মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় আমরা চীনা জাহাজকে সতর্ক করি এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনা গোস্টগার্ড আমাদের ভীতি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। তবে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে যাইনি, আমরা ভয়ও পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, পিসিজির জাহাজ থেকে ৮০০ গজ দূরে চীনা জাহাজটি নোঙর করা হয় এবং জাহাজ থেকে একটি বোটও পানিতে নামানো হয়।

এবিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু দ্বীপে ভূমি পুনরুদ্ধারের তোড়জোড় চালাচ্ছে। একই সঙ্গে সামরিক স্থাপনা বৃদ্ধি ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করছে। বিষয়টি এই অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চায়না সরকার দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশকে তাদের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে দাবি করে আসছে। বছরে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের বাণিজ্য হয় এই সামুদ্রিক রুটে। যদিও ২০১৬ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগ ভিত্তিক স্থায়ী সালিশি আদালতের একটি রায় বলছে, চীন বিস্তৃত সামুদ্রিক দাবির আইনি কোনও ভিত্তি নেই।

;

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুখবর দিলেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত প্রকল্প বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

লেবার পার্টি নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পর স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কিয়ার স্টারমার বলেন, তার সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের নীতি বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, রুয়ান্ডা প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই মারা গেছে ও দাফন হয়ে গেছে। এটি কখনই প্রতিরোধক হিসেবে ছিল না। আমি এমন কৌশল চালিয়ে যেতে চাই না যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে না। তিনি রুয়ান্ডা নীতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা হিসাবে বর্ণনা করেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

২০২২ সালের জুনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি রওনা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে তা বাতিল হয়ে যায়।

পরের বছরের নভেম্বরে এ ধরনের পরিকল্পনাকে অবৈধ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট, তবে ঋষি সুনাক চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুয়ান্ডা বিল উত্থাপনের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্ক চলার পর চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেন, ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডার উদ্দেশে রওনা করবে। তবে এই সময়ে আদৌ পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে তখনই অনিশ্চয়তা দেখা যায়।

;

পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানালেন সৌদি যুবরাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ শনিবার (৬ জুলাই) জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে এসপিএ জানিয়েছে, ‘আমি আমাদের দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উন্নয়ন ও গভীরতা এবং আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি আমার আগ্রহের কথা নিশ্চিত করছি।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইরান এবং সৌদি আরব বছরের পর বছর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

তারপর থেকে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয় পেয়েছেন তিনি।

শনিবার (৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৬৩ লাখ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জলিলি ১ কোটি ৩৫ লাখ ভোট পেয়েছেন।

এর মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান।

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। প্রায় ৫০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪০ ভাগ। প্রথম ধাপে চার প্রার্থীর কেউ এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়।

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারি বিশেষজ্ঞ। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন পেজেশকিয়ান। এ ছাড়া ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে দেশটিতে।

;

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে কাজ করবে ভারত ও যুক্তরাজ্য



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

ছবি: সংগৃহীত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত ও যুক্তরাজ্য ‘মুক্ত ব্যবসায় চুক্তি’ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট- এফটিএ) নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভারতের বার্তাসংস্থা এএনআই এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে ফোন করেন।

এসময় নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্টারমারকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, দুই দেশের নেতার মধ্যে আলোচনায় ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ (কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ-সিএসপি) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় দু’জনই সিএসপি বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কাজ করতে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

টেলিফোন আলাপকালে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার সেদেশে প্রবাসী ভারতীয়রা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে যে অনেক অবদান রেখেছেন, তা উল্লেখ করে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতি অভিবাদন জানান।

টেলিফোন আলাপকালে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় করার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর ২০২৪ সালের যুক্তরাজ্যের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে লেবার পার্টি।  

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার পেশায় একজন ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক আর মা ছিলেন নার্স। খনিশ্রমিক ‘কিয়ের’-এর নাম অনুসারে স্টারমারের ‘কিয়ের’ নাম রাখা হয়। প্রথম জীবনে কিয়ের স্টারমার একজন কট্টরপন্থি বাম রাজনীতিবিদ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মধ্য বামপন্থি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।

;