১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের নির্বাচন জুলাই মাসে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ৪ জুলাই ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ৪ জুলাই ২০২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নির্বাচন ২০২৪ সালের ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে ৫ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারই প্রথম আগাম ভোটের ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ (স্থানীয়ভাবে ‘টোরি’ হিসেবে পরিচিত) দলের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

টোরি দলের ভেতরে অসন্তোষ সৃষ্টি হলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৬ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণার পর শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন।

তবে এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার আগে ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি দেখাতে হবে তাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) লন্ডন সময় সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় বিদ্যালয়, কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোকে পোলিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

হাউস অব কমনসের ৬শ ৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত ৩শ ২৬টি আসনে জয় পেতে হবে।

প্রথমবারের মতো ফটো আইডির ব্যবহার

বিবিসি জানিয়েছে, নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের এমন নাগরিকেরা যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। গত ১৮ জুন এই নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়।

২০২২ সালের এক আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশটির বাইরে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করা প্রায় ২০ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকও ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে সক্ষম হন।

এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি দেখাতে হবে।

এক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির বাসের পাস এবং ওয়েস্টার ৬০+ কার্ডসহ মোট ২২ ধরনের আইডি কার্ড গ্রহণযোগ্য ধরা হচ্ছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২০০৩ সাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য আইডি দেখাতে হয়। সেখানে ৯ ধরনের আইডি কার্ড দেখানো যায়।

অন্যদিকে, যারা সঠিক আইডি ছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তারা ভোটার অথরিটি সার্টিফিকেট নামে বিনামূল্যের একটি নথির জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।

ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের যেসব ভোটারের আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে, তারা ভোটের দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জরুরি প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাতে করে অন্য কোনো নিবন্ধিত ভোটার তাদের পক্ষে ভোট দিতে পারেন।

অনেকেই ইতোমধ্যেই ডাকযোগে ভোট দিয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার জন্য নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। যারা পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো তা ফেরত দিতে পারেননি তারা রাত ১০টায় ভোট শেষ হওয়ার সময়ের মধ্যে তাদের স্থানীয় ভোটকেন্দ্রে তা হস্তান্তর করতে পারবেন। এছাড়াও অফিস চলাকালীন স্থানীয় কাউন্সিল অফিসেও পোস্টাল ভোট জমা দেওয়া যাবে।

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের খুঁটিনাটি বিষয়
যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয়, ৫ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)।

নিয়মমাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগাম নির্বাচনের ঘোষণায় বাস্তবে তা ঘটেনি।

যুক্তরাজ্য ৬৫০টি নির্বাচনি কেন্দ্র বা এলাকায় বিভক্ত। এই প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার ভোটাররা একজন সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন, যারা তাদের হয়ে হাউস অব কমন্সে প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচনি ময়দানে লড়াই করতে নামা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও ভোটে লড়ছেন।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী
বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, সে দল দুটি হলো- ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি।

৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী মি. সুনাক। শুধু তাই-ই নয়, তার হাত ধরে এবারই প্রথম কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ঋষি সুনাক এবং লেবার পার্টির প্রার্থী কিয়ের স্টারমার, ছবি- সংগৃহীত


অন্যদিকে, লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’-এর প্রধান ছিলেন স্টারমার। পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ভোটের ফল ঘোষণার পরের পদক্ষেপ
ভোট গণনার পর যে দলের কাছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক এমপি (সংসদ সদস্য) রয়েছেন, সেই দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান জানান রাজা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংসদ থাকা দলের নেতাই হন সংসদে বিরোধী দলনেতা।

যদি কোনো দলই সংসদ সদস্যের নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে সেই দল নিজেদের সংসদ সদস্যের ওপর নির্ভর করে আইন পাস করতে পারে না। এর ফলে 'হাং পার্লামেন্ট' বা ত্রিশঙ্কু অবস্থা তৈরি হয়।

এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তম দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্য দলের সঙ্গে মিলে জোট সরকার গঠনের অথবা সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে কোনো আইন পাস করার সময় তাদের অন্য দলের ভোটের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়।

রাশিয়ার হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ইউক্রেনের লাখো বাসিন্দা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা করেছে রাশিয়া। এতে ওই অঞ্চলের প্রায় এক লাখ বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো বলছে, রাশিয়া সীমান্তবর্তী সুমি শহরটিতে বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ চলছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের অসুবিধা ছাড়া অঞ্চলটিতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রাশিয়া প্রায়ই ইউক্রেনের জরুরি সেবাগুলো ধ্বংস করে আসছে। এতে সেখানকার লোকেরা গ্রীষ্মের তীব্র গরমে পানি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই দিন পার করছে।

শুধুমাত্র গত তিন মাসে ইউক্রেন নয় গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়েছে। জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো বলেছে, শত্রুদের কর্মকাণ্ডে তার সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। একই সঙ্গে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো রাশিয়ার ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর পোল্যান্ড তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইউক্রেন একই সঙ্গে বিদ্যুতের দেশীয় উৎপাদন ও আমদানি ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইউক্রেনারগোর কর্মকর্তা মারিয়া সাতুরিয়ান বিবিসিকে বলেছেন, ‘দেশটিতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জন্য গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সংস্থার ওপর ক্ষিপ্ত। কিন্তু আমাদের অন্য কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে রয়েছি। রাশিয়ান সন্ত্রাসীদের প্রধান লক্ষ্য আমাদের জ্বালানি খাত ধ্বংস করা। কারণ আমাদের সবার জীবন-জীবিকা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। স্বাধীনতার জন্য আমাদের এতটুকু মূল্য দিতেই হবে।’

এদিকে এয়ার ফোর্স কমান্ড দাবি করছে, ৫ থেকে ৬ জুলাই ইউক্রেন বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার ছোঁড়া ২৭টি ড্রোনের মধ্যে ২৪টি ভূপাতিত করেছে। সুমি অঞ্চলে ইলেকট্রনিক জ্যামিং এবং অ্যান্টি এয়ার ডিফেন্স ব্যবহার করে ড্রোনগুলিকে ভূপাতিত করা হয়।

;

ফিলিপাইনের সমুদ্রসীমায় ‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

‘দানব’ আকৃতির চীনা জাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক সমু্দ্রসীমার মধ্যে দানব আকৃতির জাহাজ নোঙর করেছে চীনা কোস্টগার্ড। এমনটিই দাবি করছেন ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের (পিসিজি) মুখপাত্র জে টেরিয়েলা।

শনিবার (৭ জুলাই) একটি সংবাদমাধ্যমকে টেরিয়েলা বলেন, ‘মঙ্গলবার (২ জুলাই) ১৬৫ মিটার দীর্ঘ চীনা জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলার অর্থনৈতিক সমদ্রসীমার (২০০ নটিক্যাল মাইল) মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় আমরা চীনা জাহাজকে সতর্ক করি এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনা গোস্টগার্ড আমাদের ভীতি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। তবে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে যাইনি, আমরা ভয়ও পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, পিসিজির জাহাজ থেকে ৮০০ গজ দূরে চীনা জাহাজটি নোঙর করা হয় এবং জাহাজ থেকে একটি বোটও পানিতে নামানো হয়।

এবিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু দ্বীপে ভূমি পুনরুদ্ধারের তোড়জোড় চালাচ্ছে। একই সঙ্গে সামরিক স্থাপনা বৃদ্ধি ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করছে। বিষয়টি এই অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চায়না সরকার দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশকে তাদের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে দাবি করে আসছে। বছরে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের বাণিজ্য হয় এই সামুদ্রিক রুটে। যদিও ২০১৬ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগ ভিত্তিক স্থায়ী সালিশি আদালতের একটি রায় বলছে, চীন বিস্তৃত সামুদ্রিক দাবির আইনি কোনও ভিত্তি নেই।

;

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুখবর দিলেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত প্রকল্প বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

লেবার পার্টি নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পর স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কিয়ার স্টারমার বলেন, তার সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের নীতি বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, রুয়ান্ডা প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই মারা গেছে ও দাফন হয়ে গেছে। এটি কখনই প্রতিরোধক হিসেবে ছিল না। আমি এমন কৌশল চালিয়ে যেতে চাই না যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে না। তিনি রুয়ান্ডা নীতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা হিসাবে বর্ণনা করেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

২০২২ সালের জুনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি রওনা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে তা বাতিল হয়ে যায়।

পরের বছরের নভেম্বরে এ ধরনের পরিকল্পনাকে অবৈধ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট, তবে ঋষি সুনাক চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুয়ান্ডা বিল উত্থাপনের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্ক চলার পর চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেন, ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডার উদ্দেশে রওনা করবে। তবে এই সময়ে আদৌ পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে তখনই অনিশ্চয়তা দেখা যায়।

;

পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানালেন সৌদি যুবরাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ শনিবার (৬ জুলাই) জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে এসপিএ জানিয়েছে, ‘আমি আমাদের দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উন্নয়ন ও গভীরতা এবং আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি আমার আগ্রহের কথা নিশ্চিত করছি।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইরান এবং সৌদি আরব বছরের পর বছর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

তারপর থেকে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয় পেয়েছেন তিনি।

শনিবার (৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৬৩ লাখ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জলিলি ১ কোটি ৩৫ লাখ ভোট পেয়েছেন।

এর মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান।

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। প্রায় ৫০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪০ ভাগ। প্রথম ধাপে চার প্রার্থীর কেউ এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়।

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারি বিশেষজ্ঞ। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন পেজেশকিয়ান। এ ছাড়া ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে দেশটিতে।

;