পুরনো বন্ধু পুতিনকে দেখতে পেরে আনন্দিত শি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মধ্য এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, যেটি পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোকে একত্রিত করবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন এবং শি নিয়মিতভাবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) জোটের তত্ত্বাবধানে মিলিত হন, যার সর্বশেষ অধিবেশন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এই ব্লকের সঙ্গে একটি ‘সংলাপ অংশীদার’ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মূল অধিবেশনের প্রাক্কালে বুধবার (৩ জুলাই) এরদোয়ান এবং শি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পুতিন।

বিজ্ঞাপন

চীনা নেতাকে পুতিন বলেছেন, সাংহাই জোট একটি ন্যায্য বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসাবে তার ভূমিকা শক্তিশালী করছে।

এই সম্মেলনে বিশ্বমঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বকে ‘আধিপত্যবাদ’ বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন।

মস্কোর প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের জন্য পশ্চিমে সমালোচিত শি বুধবার পুতিনকে বলেছেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে আবার দেখতে পেরে আনন্দিত।

এরদোয়ানও বুধবার পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। এরদোয়ান, পুতিনকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানান এবং ইউক্রেনে উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

এদিকে, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উল্লেখ্য, এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি সক্রিয় হয়েছে। এর নয়টি পূর্ণ সদস্য দেশ হলো-চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।

নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির উপর ফোকাসসহ পশ্চিমের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সহযোগিতার একটি প্লাটফর্ম হওয়ার উদ্দেশ্যে এই জোট গঠিত হয়েছে।

পশ্চিমা-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান এ বছর পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন দেওয়া বেলারুশও বৃহস্পতিবার সংস্থার দশম পূর্ণ সদস্য হবে।

কাজাখ মিডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই জোটের প্রশংসা করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।