পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সূক্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি অভিযানে এই অঞ্চলে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন ৫ হাজার ২৯৫ বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলি সরকার। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই পরিকল্পনাটি পাস হয়েছে বলে জানা গেছে।

এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান সহিংসতায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা আবারও শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এজন্য ইতিমধ্যে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলের সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ৫ হাজার ২৯৫টি বাড়ির জন্য অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এটি জর্ডান উপত্যকায় এবং হেব্রন শহরের কাছে ইসরায়েলের নতুন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গাজা আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৩ হাজার ১৩৮ একর জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে দখলদার ইসরায়েল। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির পর এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিজেদের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সামনে বড় দু’টি চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। প্রথমটি হলো হিজবুল্লাহ এবং দ্বিতীয়টি হলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান। দুটো চ্যালেঞ্জই তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য স্পর্শকাতর।

সম্প্রতি স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের অন্য অনেক দেশও স্বীকৃতি দেওয়ার পথে রয়েছে। এটি বন্ধ করার জন্যই পশ্চিম তীরে একের পর এক আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনার অনুমোদন দিচ্ছেন তিনি।

ফ্রান্সে কট্টরদের থামিয়ে বাম জোটের জয়, মুসলিম নারীদের স্বস্তি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নাটকীয় জয় পেয়েছে নিউ পপুলার ফ্রন্ট

নাটকীয় জয় পেয়েছে নিউ পপুলার ফ্রন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধাপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে বামপন্থি দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই)।  

ফলাফল ঘোষণা করার পরই বিজয় র‌্যালি নিয়ে পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে যান সমর্থকরা। সেই সাথে ভয় কেটেছে মুসলিম নারীদেরও। দেশটিতে হিজাব পরিহিত নারীদের প্রায়ই হেনস্তার শিকার হতে দেখা যায়। তবে সেই শঙ্কা আরও বাড়তে থাকে প্রথম দফার নির্বাচনে ডানপন্থী জোটের এগিয়ে থাকা নিয়ে। 

সোমবার (৮ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নাটকীয়ভাবে জয় পেয়েছে নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই)। তাদের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর মধ্যপন্থী দল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বামপন্থী জোটের জয়ের খবরে মুসলিম নারীদের সেই শঙ্কা দূর হয়েছে।

এর আগে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিল ন্যাশনাল র‍্যালি (এনআর)। কিন্তু দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে চিত্র পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। 

প্রথম দফার নির্বাচনের ফর ডানপন্থীদের ঠেকাতে ফ্রান্সের মধ্যপন্থী ও বামপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো। এরপর আপসের ভিত্তিতে বাম ও মধ্যপন্থী দলগুলোর প্রার্থীদের অনেকেই একে অন্যকে একাধিক আসন ছেড়ে দেন। আর এর ফলেই ডানপন্থীরা পিছিয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের পার্লামেন্টের ৫৭৭টি আসনের বামপন্থীদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট পেয়েছে ১৮২টি। এরপর ১৬৮টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মধ্যপন্থী জোট অনসম্বল অ্যালায়েন্স। আর কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র‍্যালি জয় পেয়েছে ১৪৩টি আসনে।

;

হামাস নিশ্চিহ্নে গাজার কৃষিজমিতে ইসরাইলি ধ্বংসলীলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাজার কৃষিজমিতে ইসরাইলি ধ্বংসলীলা

গাজার কৃষিজমিতে ইসরাইলি ধ্বংসলীলা

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ গাজার উপকূলীয় আল-মাওয়াসির মাটিতে এখনও টাটকা ইসরায়েলি ট্যাংকের চাকার দাগ। বাতাসে বারুদের গন্ধ। উপড়ে যাওয়া মৃত একটি টমেটো গাছ তুলে ধরলেন ফিলিস্তিনের কৃষক নেদাল আবু জাহের। ৩৯ বছর বয়সী কৃষক ক্লান্ত গলায় বলেন, এই হল ধ্বংসের নমুনা। আমরা সাধারণ কৃষক, হঠাৎ এক দিন ট্যাংক এসে গোলাবর্ষণ শুরু করল, শুরু হল ক্ষেপণাস্ত্র হানাও।

আবু জাহেরের পিছনে পড়ে রয়েছে তার গাছঘরের (গ্রিনহাউস) ধ্বংসাবশেষ। জাহের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল কিন্তু এই এলাকাটিকে মানবিক ক্ষেত্র ( হিউম্যানিটারিয়ান জোন) হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।

শুধু আবু জাহের নন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়া পর থেকে সমগ্র গাজাজুড়ে প্রায় ৫৭ শতাংশ কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও কৃত্রিম উপগ্রহ সংস্থা (ইউএনওএসএটি)-এর যৌথ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সম্প্রতি তা জানা গিয়েছে।

এফএও-এর ম্যাটিউ হেনরি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের ৩০ শতাংশ অন্নসংস্থান হয় কৃষিক্ষেত্র থেকে। সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

২০২২ সালেও গাজা প্রায় ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার কৃষিপণ্য রফতানি করেছে ইসরায়েল, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক-সহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে। তার মধ্যে স্ট্রবেরি ও টমেটো অন্যতম। সংঘর্ষ শুরু হতেই সেই রফতানির পরিমাণ কমে হয়েছে শূন্য। কৃষিজমিতে চলছে গোলাবর্ষণ।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে প্রায় ৬৮ শতাংশ কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাফাহ শহরের কাছে পাঁচ একর জমি ইজারা নিয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী কৃষক ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার আমার চাষ করা ফল, লেবু, পেয়ারা, পালং শাক, বেগুন, স্কোয়াশ, কুমড়া ও সূর্যমুখীর চারাসহ বিভিন্ন গাছে ধ্বংসলীলা চালায়।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় চলতে থাকা খাদ্যের হাহাকারের পিছনে এই ধ্বংসলীলা প্রবলভাবে দায়ী।

ইসরায়েলি সেনাদের অবশ্য দাবি, ইচ্ছে করে কৃষিজমি, ফলের বাগানে আক্রমণ করা হয়নি। হামাস বেশির ভাগ এই সব এলাকাগুলো থেকেই হামলা চালায়।

মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের দাবি, হামাসের ভয় দেখিয়ে ইসরায়েল আসলে গাজাকে খাদ্যশূন্য করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে। গাজা কার্যত ধুঁকছে, তবু অব্যাহত ইসরায়েলি হামলা।

;

যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। দেশটিতে রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছে আগের তাপমাত্রা। চলমান তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে ১৩ কোটির বেশি মানুষ।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী সপ্তাহজুড়ে থাকবে তাপপ্রবাহ। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাপপ্রবাহের জেরে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে দাবানল দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা জ্যাকব অ্যাশারম্যান জানান, প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম, মধ্য-আটলান্টিক ও উত্তর-পূর্বের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। ওরেগন অঙ্গরাজ্যের ইউজিন, পোর্টল্যান্ড এবং সালেমসহ বেশ কয়েকটি শহরে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা দিতে পারে। কোটি কোটি মানুষকে শীতল কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে হতে পারে বলে জানান তিনি।

দেশটির পূর্বাঞ্চলেও তাপপ্রবাহ থাকবে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। বাল্টিমোর ও ম্যারিল্যান্ডের কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।

দেশটিতে বিভিন্ন মাত্রায় তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে থাকা ১৩ কোটির মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বাল্টিমোর এলাকার বাসিন্দাদের প্রচুর পরিমাণে তরল পানি পান, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকতে ও বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গেল জুন মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে চরম তাপপ্রবাহ চলছে। সেখানে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।

;

সৌদি আরবে ৭ বাংলাদেশিসহ ১৪ মাদক-ব্যবসায়ী গ্রেফতার 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৭ বাংলাদেশি মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার

৭ বাংলাদেশি মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে ১৪ জন মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে সৌদি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। 

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেনারেল ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, ব্যাপক আসক্তি সৃষ্টিকারি ৩.৩ কেজি মেথামফেটামিন, ১২ হাজার ৪৩২টি অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট এবং বিপুল পরিমাণ হাশিশসহ রিয়াদ থেকে সাত বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এছাড়া অ্যামফিটামিনের ২১ হাজার ট্যাবলেট চোরাচালানের দায়ে বন্দর নগরী জেদ্দায় দুই সিরিয়ান নাগরিক এবং একজন সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এদিকে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনা থেকে এক প্রবাসী ও এক সৌদি নাগরিককে আট করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে এমফিটামিনের ৭৫ হাজার ৬০০ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানের সীমান্ত থেকে দুই ইথিওপিয়ানকেও আটক করেছে। তারা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের চেষ্টা করছিল।

সম্প্রতি সৌদি আরব মাদক চোরাচালান ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোড়দার করেছে। 

;