স্নাইপারের নজর থাকার পরও ট্রাম্পের ওপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য গুলির ঘটনায় তোলপাড় পুরো বিশ্ব। তবে প্রশ্ন হামলাকারী যুবকের দিকে আগে থেকেই স্নাইপারের নজর থাকলেও কেন এই ঘটনা ঘটল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বচনী প্রচার সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলির শব্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প মঞ্চে বসে পড়েন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার তাকে টেনে তুললে তার কান ও মুখমণ্ডল দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। পরে ট্রাম্প উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তখন ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট!

বিজ্ঞাপন

এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, হামলাকারীর ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। বিবিসির খবর বলছে, হামলাকারী ক্রুকস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাটলার থেকে এই শহরের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। গুলির এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা ধরে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস।

এতো নিরাপত্তার মধ্যে কিভাবে এমন হামলার ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী যুবকের দিকে আগে থেকেই নজর ছিল স্নাইপারের। তাহলে কেন এই ঘটনা ঘটল? কেন আগেই শুটারকে থামানো গেল না।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, তার পাশেই একটি বাড়ির ছাদে আছেন দুই স্নাইপার। মঞ্চের উল্টো দিকে অপর এক ভবনের ছাদে ছিল সেই শুটার। গুলি চালানোর ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কান থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। তাকে নিরাপদে অন্যত্র নিয়ে যায় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক এই হামলায় ম্যাথিউ ক্রুকস একা জড়িত নাকি এর পেছনে আরও কেউ আছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

এ বিষয়ে পেনসিলভ্যানিয়া রাজ্য পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ বেভিন্সের বলেন, এটি বলা এখনই খুব কঠিন । আমরা অস্থায়ীভাবে একজন বন্দুকধারীকে শনাক্ত করেছি, তদন্ত চলছে। আমরা একাধিক লিড অনুসরণ করছি, এবং এটি একটি একক বন্দুকধারীর কাজ কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলতে কিছু সময় লাগবে।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিবিসিকে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তার পাশেই একটি ভবনের ছাদে এক ব্যক্তিকে হামাগুড়ি দিতে দেখেছিলেন। তার হাতে রাইফেলও দেখেছিলেন তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করার আগেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন ওই হামলাকারী।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, আমরা দেখেছি, লোকটি (হামলাকারী) হামাগুড়ি দিচ্ছিল...আমাদের কাছেই একটি ভবনের ছাদের ওপর।’ ট্রাম্প বক্তব্য শুরুর করার পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর এ দৃশ্য দেখেন তিনি।

হামলার পরে সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়েছেন। তিনি সমাবেশস্থলের বাইরে থেকেই হামলা চালান। এতে মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে থাকা একজন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।