জনসমর্থনে ট্রাম্পের কাছাকাছি কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটনে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) শিক্ষক ইউনিয়নের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য নতুন প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
রয়টার্স জানিয়েছে, সেখানে তিনি ভবিষ্যতের জন্য লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, মাত্র পাঁচ দিনের নির্বাচনী প্রচারণার প্রভাব দেখা যাচ্ছে জনমত জরিপেও। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জনসমর্থনের ব্যবধান দিন দিন কমে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপক্ষে ট্রাম্প যতটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন, সেটা ধীরে ধীরে কমে আসছে।
বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত প্রার্থী হিসেবে কমলার নাম আসার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জটা সত্যিকার অর্থে কঠিন হয়ে উঠছে।
হিউসটনে আমেরিকান ফেডারেশন অব টিচারসের সমাবেশে বক্তৃতায় ৫৯ বছর বয়সি কমলা হ্যারিস অর্থনৈতিক নীতি ও শ্রমিকদের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা ও শিশু পরিচর্যার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের পর এক গুলির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসে উত্থাপিত অস্ত্র আইন আটকে দেওয়ার জন্য রিপাবলিকানদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
কমলা বলেন, ‘আমাদের লড়াই ভবিষ্যতের জন্য। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে লড়াইয়ের মধ্যে আছি।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত রবিবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে রয়টার্স/ইপসসসহ বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আগামী সাড়ে তিন মাস ট্রাম্প আর কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার দুজনের জন্যই বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজ জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
এই জরিপে ৪৮ শতাংশ মার্কিন ভোটার ট্রাম্পকে এবং ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন জানান।
অথচ জুলাইয়ের শেষ দিকে একই প্রতিষ্ঠানের করা জরিপে ট্রাম্পের প্রতি ৪৯ শতাংশ ও বাইডেনের প্রতি ৪১ শতাংশ ভোটার সমর্থন জানিয়েছিলেন। অবশ্য ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বাইডেন খারাপ করার পর ওই জরিপ চালানো হয়েছিল।