বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সামনে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে

ছবি: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জের পুরোপুরি কেটে যাওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহেও প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে যে রাজনৈতিক দলের সমর্থনের ওপর ভর দিয়ে ক্ষমতায় রয়েছেন বিক্রমাসিংহে, সেই শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) আসন্ন নির্বাচনে তাকে সমর্থন দিতে অস্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন

এসএলপিপির মহাসচিব সালাগা কারিয়াওয়াসাম সোমবার দলের সর্বোচ্চ ফোরাম পলিটব্যুরো কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, “পলিটব্যুরো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আসন্ন নির্বাচনে এসএলপিপি নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করাবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।”

প্রসঙ্গত, এসএলপিপি শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছে রাজাপাকশে পরিবার। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে এবং তার বড়ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশে এই দলের শীর্ষ দুই নেতা। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে এসএলপিপি। সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট হন গোতাবায়া, মাহিন্দা হন প্রধামন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু তার বছর শুরু হয় করোনা মহামারি। সেই মহামারিকালীন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিতে চরম ব্যর্থতা, সরকারি তহবিল থেকে বেহিসেবি অর্থব্যয় এবং সরকারের ভুল নেতৃত্বের ফলে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যায়। এতে ২০২১ সালের শেষ দিক থেকে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ আমদানির মতো অর্থও ছিলো না দেশটির।

এই অবস্থায় এক পর্যায়ে সাধারণ জনগণের চরম বিক্ষোভের মুখে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। তিনি দেশত্যাগের পর পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের ভোটে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল এবং গোতাবায়া সরকারের সাংবিধানিক মেয়াদের বাকি ২ বছর পূর্ণ করেন। তার গত দুই বছরের নেতৃত্ব ইতোমধ্যে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।