খান ইউনুস থেকে সরে গেছে ইসরায়েলি সেনা, ৪২ মরদেহ উদ্ধার
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনুস থেকে সরে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ফিরতে শুরু করেছেন। শহরে ফিরে অনেকেই দেখেছেন, তাদের বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কারো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে শহরটি অধিকৃত করে রাখে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, হামাসের সদস্যরা যাতে ফের সংগঠিত না হতে পারে, সে কারণে তারা শহরটি দখলে রেখেছিল।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনুস থেকে সরে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ফিরতে শুরু করেন। কেউ কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ কেউ গাধায় টানা গাড়ি করে শহরে আসেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, খান ইউনুস থেকে এখন পর্যন্ত তারা মোট ৪২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। গাজার সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নিখোঁজ ২শ জনকে খুঁজে ফিরছেন তারা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে তারা খান ইউনুসে অভিযান চালিয়ে দেড়শ বন্দুকধারী ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এসময় তারা হামাসের ব্যবহৃত টানেল ধ্বংস করেছে এবং অনেক অস্ত্র জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনুসের বানি সুহাইলার মূল কবরস্থানটি বুলডোজার দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের মূল লক্ষ্য ছিল অভিযান চালানো। বিশেষ করে রাস্তার পাশের বাড়িগুলোতে তল্লাশি করা।
খান ইউনুসের স্থানীয় বাসিন্দা ইতিমাদ আল-মাসরি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ফিরে এসেছি এবং আল্লাহ’র ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। আমার জানা ছিল না যে, আমি বেঁচে ফিরবো নাকি মারা যাবো!
ইতিমাদ আল-মাসরি অন্তত ৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে নিজ এলাকায় ফেরেন। তিনি বলেন, এত ভোগান্তির পরেও আমরা ধৈর্য ধরে রেখেছি এবং আল্লাহ চাইলে আমরা জয়লাভ করবো।
ওয়ালিদ আবু নাসাইরা বলেন, আমরা আশা করি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হবে। আমরা নিরাপদে এলাকায় বসবাস করতে পারবো।