কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যা, প্রতিবাদের ঝড়

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।অভিযোগ উঠেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১১ আগস্ট) দ্য হিন্দু'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক নারী চিকিৎসকের। এই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার সকালে সহযোগী এক চিকিৎসক দেখেন, অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে চিকিৎসকের মরদেহ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও সহকর্মীরা তা প্রত্যাখ্যান করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ তোলেন। নিহত চিকিৎসক উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনা দ্রুত রাজ্যব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। শনিবার একের পর এক মিছিলে স্তব্ধ হয়েছে কলকাতার পথঘাট। এসএফআই, ডিএসও মিছিল করেছে। পথে নেমেছেন কলেজের নারী চিকিৎসক, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। মূল ফটকের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের অবরোধে মুখে আটকে যায় কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের একটি মিছিল। তুমুল ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের।

এছাড়া বিজেপি নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলররা হাসপাতালে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং মরদেহ আটকে রাখেন। পরে, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন, শ্বাসরোধের আলামত এবং রক্তক্ষরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ধর্ষণ ও হত্যার সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এবং একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।