লাখো মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একটি ইউনিয়নের ডাকে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকার রাফাহ-এর একটি টানেল (সুড়ঙ্গ) থেকে ৫ জন ইসরায়েলি এবং ১ জন ইসরায়েলি-মার্কিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর দেশটির একটি ইউনিয়ন বিক্ষোভের ডাক দেয়।

এরপর রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের ৩ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এছাড়াও দেশব্যাপী আরও ২ লাখ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দেরি করায় ৬ জিম্মি হত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন- ‘এখনি, এখনি…’। তারা আর দেরি না করে হামাসের সঙ্গে এখনি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের দাবি জানান।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা এবং ইসরায়েলভিত্তিক টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানায়।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ইউনিয়ন দ্য হিজটাড্রাট এক বিক্ষোভের ডাক দেয়।

এ বিষয়ে দ্য হিজটাড্রাট প্রধান আরনন বার ডেভিড বলেছেন, ‘চুক্তির বদলে আমরা মৃতদেহের ব্যাগ পাচ্ছি’!

ইউনিয়ন জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ইসরায়েলের মূল বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া ইসরায়েলের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে ব্যাংকিং সেক্টর এবং স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জানা যায়, দক্ষিণ তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করেন। ১৮ মাসের মধ্যে এটিই ছিল ইসরায়েলের সব চেয়ে বড় বিক্ষোভ।

উল্লেখ্য, শনিবার গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকার একটি টানেলের ভেতর থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এরপর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই টানেলে পৌঁছানোর কিছু সময় আগে জিম্মি করা ৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এদিকে, ইসরায়েলি-মার্কিন নাগরিক গোল্ডবার্গ পোলিনের হত্যার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শোক প্রকাশ করেন। অপহৃতদের স্বজনেরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে অপহরণের দায় স্বীকার করার দাবি জানান।

এক বিবৃতিতে নিহতদের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, হামাসের সঙ্গে দেরিতে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর কারণেই তাদের স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজনেরা রোববার জানান, তারা ইসরায়েলব্যাপী ধর্মঘট ডাকার পরিকল্পনা করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করে ১ হাজার ২শ জনকে হত্যা করে এবং ২শ ৫১ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায়।