লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ আগামীকাল নিজ যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান সানরুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ভাষণ দিবে।

লেবানন জুড়ে পেজার বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানায় গণমাধ্যমটি।

এই ভাষণ থেকে হিজবুল্লাহ সদস্যদের জন্য নতুন কোনো দিকনির্দেশনা আসার সম্ভাবনা আছে বলে গণমাধ্যমকে বলেছেন দলটির নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হাসিম সাফিদ্দিন।
উল্লেখ্য, লেবাননে পেজার হামলায় ৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া আরও ৩০০০ এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ আরও ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের দুই শিশুসহ ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার মানুষ। আহতের মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দেশটির চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হয়েছে। তবে এ হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

এদিকে গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার আল-জাজিরার আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা জুড়ে অব্যাহত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৫৪ জন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ফলে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে শিশুদের। চরম অবস্থা পার করছে তারা। একদিকে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট, অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ফলে অপুষ্টিতে ভুগছে হাজার হাজার শিশু।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজার ৫৫১ জন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

অন্যদিকে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলের এক হাজার ১৩৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়াও ২০০ জনের বেশি মানুষ বন্দি রয়েছে।

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার পর ক্ষুধার্ত মানুষদের খাওয়ানোর জন্য ২০০টি হাতি মারার পরিকল্পনা করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। দেশটির বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের বরাতে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এল নিনোর প্রভাবে আফ্রিকা মহাদেশে ব্যাপক খরা দেখা দিয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতিতে এ অঞ্চলে ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে।

জিম্বাবুয়ে পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অথরিটির (জিমপার্কস) মুখপাত্র তিনশে ফারাও রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা সারা দেশে প্রায় ২০০টি হাতি মারার পরিকল্পনা করছি। আমরা কীভাবে এটি করতে যাচ্ছি তার পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি।

দেশটিতে মোট হাতির সংখ্যা ৮৪ হাজার। কিন্তু হাতি ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। বিশ্বে হাতির সর্বোচ্চ সংখ্যার দিক দিয়ে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হাতিগুলোকে মারার মাধ্যমে দেশটির বনগুলোতে হাতির সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

খরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকরা। যার কারণে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের হিসাব মতে, জিম্বাবুয়ের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

ভারতের মহারাষ্ট্রের এক বিধায়ক সঞ্জয় গাইকোয়াড ঘোষণা করেছেন, জাতীয় কংগ্রেস ও লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর জিহ্বা কেটে আনতে পারলে তাকে ১১ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি এ ঘোষণা করেন। এরপর মহারাষ্ট্রের পুলিশ তার নামে একটা মামলা রুজু করে।

এরপর তিনি বুধবার ফের বলেছেন, কংগ্রসের কোনো কুকুর (কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে) যদি সরকারি প্রোগ্রামে আমার এলাকায় আসে, তাহলে তাকে কবর দেওয়া হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার বক্তব্যের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়াটুডে এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের দাবি তুলে দিতে বলায় রাহুল গান্ধীর জিহ্বা কাটার হুমকি দেন শিবসেনা নেতা ও মহারাষ্ট্রের বিধায়ক সঞ্জয় গাইকোয়াড।

এখন আবার ফের তার নির্বাচনি এলাকায় সরকারি প্রোগ্রামে কংগ্রেস দলের কেউ গেলে তাকে কবর দেওয়া হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘কংগ্রেসের কোনো কুকুর আমার এলাকায় এলে তাকে কবর দেওয়া হবে’।

তার এ বক্তব্যের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে আরো বলেন, আমি যদি ক্ষমা না চাই, তাহলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কী করতে পারেন!

তিনি বলেন, ১শ ৪০ কোটি মানুষের দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ কোটার সুবিধা পেয়ে থাকে। আমি তার বিরুদ্ধেই কথা বলেছি, যিনি কোটা তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন।

এর আগে আগস্ট মাসে একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, এক পুলিশ সদস্য বিধায়ক সঞ্জয় গাইকোয়াডের গাড়ি পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করছেন।

এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠলে সঞ্জয় গাইকোয়াড বলেছিলেন, ওই পুলিশ সদস্য তার গাড়িতে বমি করে দিয়েছিলেন বলে তিনি গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন।

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্জয় গাইকোয়াড বলেন, ১৯৮৭ সালে তিনি একটি বাঘ শিকার করেছিলেন এবং সেই বাঘের দাঁতের তৈরি মালা তিনি গলায় পরেন।

এরপর সেই দাঁত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট-১৯৭২ -এর অধীনে তার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

সঞ্জয় গাইকোয়াড শিবসেনা (একাংশ) দলের পক্ষে ভারতের মহারাষ্ট্রের বিধান সভায় বুলধানা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।