বাইডেনের মেয়াদে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব নয়

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব নয়।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রায় এক বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলা থামাতে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

পত্রিকাটি হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ করেই এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন এক কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, খুব শিগগিরই কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি নিশ্চিত নই যে এটি কখন সম্ভব হবে।

কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তি না হওয়ার পেছনে বড় দুটি বাধা রয়েছে, সেগুলো হলো হামাসের হাতে বন্দী প্রত্যেক জিম্মির বিপরীতে কতজন ফিলিস্তিনিকে ইসরাইল মুক্তি দিবে, আরেকটি হলো ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বৃদ্ধি।

যদিও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তার বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির লক্ষ্যে তারা কাজ চালিয়ে যাবেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে চুক্তিটি ভেস্তে যাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দুই সপ্তাহ আগে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৯০ শতাংশ বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।

মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করলেও ইসরায়েল ও হামাসকে চূড়ান্ত চুক্তিতে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

বাইডেন গত ৩১ মে তিন দফায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এতে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। ওই সময় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এর প্রতিশোধ নিতে হামাসকে নির্মূল করার কথা বলে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

হামাস-শাসিত অঞ্চলে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে কমপক্ষে ৪১ হাজার ২৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৯৫ হাজার ৫৫১ জন আহত হয়েছে। প্রায় ২৩ লাখ বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা বাসবাই তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে।