শ্রীলঙ্কার নির্বাচন: কে হতে পারেন বিজয়ী
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং শেষ শেষ হবে বিকেল ৪টায়। রোববার সকালে আনুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। এই নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার পর এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় বর্তমানে লড়াইয়ে আছেন ৩৮ জন।
শনিবারের নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার মোট ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন— সাজিথ প্রেমাদাসা, রনিল বিক্রমাসিংহে, অনুড়া কুমারা, নমল রাজাপক্ষে ও নুয়ান বোপেজ।
১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর ২০২২ সালে প্রথমবার আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, দেশটি কার্যত দেউলিয়া হয়ে যায়। সেই আর্থিক সংকটে পড়ে ২০২২ সালে পতন হয় রাজাপক্ষে পরিবারের।
জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটাভুটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুরার পাশাপাশি ২০২২ সালে রাজাপক্ষেবিরোধী গণবিক্ষোভের অন্যতম নুয়ান বোপেজ পিপলস স্ট্রাগল অ্যালায়েন্স দলের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন।
এছাড়া নির্বাচনে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন, প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শরথ ফনসেকা এবং বৌদ্ধদের রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)-এর প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজয়দশা রাজাপক্ষে।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে হলে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। তবে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রনিল বিক্রমাসিংহের জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।