বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের দিলাওয়ারে বাইডেনের বাসভবনে এক বৈঠকে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি তুলেন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই।
বিজ্ঞাপন
তবে তাদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা বলেননি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি যেমন বলেছি, এই আলোচনাগুলো দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন। ওই সময়ে তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দিকগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
এদিকে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পোস্টে মোদি বলেন, বৈঠকটি বেশ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় আলোচনায় এসেছে।
মোদি ও বাইডেনের মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসা বাশার আল-আসাদ ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের কাছে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত বিমানে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পালিয়েছেন।
৫৪ বছরের শাসনের অবসানের পেছনে রয়েছে একটি বিশাল বিদ্রোহীগোষ্ঠী। যারা দিনের পর দিন সশস্ত্র সংগ্রামে মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।
আর এই দলের প্রধন হলেন প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। তার দৃঢ় মনোবল আর কৌশলগত পদক্ষেপের কারনেই আজকের এই বিজয়।
কে এই জোলানি
দামেস্কের মাজেহে তে ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইরানের অভ্যুত্থানের মহানায়কের। শৈশব থেকেই তিনি যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি সুচিন্তার অধিকারীও ছিলেন। তবে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির জীবনের পরিবর্তন ঘটে ৯/১১ এর সময়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনা থেকে তার মাঝে জিহাদি চিন্তাধারার উদ্ভব ঘটে।
এরপর ২০০৩ সালে আমেরিকার বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ইরাকে আল-কায়েদোর সঙ্গে যোগদানের জন্য সিরিয়া ছেড়ে চলে যান বিপ্লবের এই নায়ক। তবে ইরাকে তার দলের সঙ্গে খুব এক সুখকর সময় কাটাতে পারেননি তিনি। জোলানির উত্থানকে রোধ করার জন্য আবু মুসাব আল জারকাভির নেতৃত্বে সংগঠনটি তাকে ৫ বছর আটকে রাখে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ যখন ভেঙে যায় তখন তিনি সিরিয়ায় ফিরে আসেন। আসাদ পরিবারের দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সিরিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন আল কায়েদার শাখা ‘আল নুসরা ফ্রন্ট’।
এরপর ২০১৩ সালে তিনি আবু বকর আল-বাগদাদির কাছে আনুগত্যের পরিবর্তে আল কায়েদার আইমান আল জাওয়াহিরির প্রতি আনুগত্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
জোলানির হার না মানা এই মনোভাবের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাকে নানা দিক থেকে বিশ্লেষণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির বিশ্লেষকরা জোলানিকে একজন প্রাক্তন চরমপন্থী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যিনি তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও মধ্যপন্থী ভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন। তারা জোলানির পরিবর্তিত পোশাককে তার আদর্শে সংযম করার কৃতিত্ব দেয়।
রাজনৈতিক ইসলামের বিশেষজ্ঞ টমাস পিয়েরেট এএফপিকে বলেছেন, জোলানি একজন বাস্তববাদী মৌলবাদী। ২০১৪সালে তিনি তার উগ্রবাদের উচ্চতায় ছিলেন।
আসাদ পরিবারের বিরুদ্ধে কৌশলগত পদক্ষেপ
দীর্ঘদিন জোলানি ছায়া হিসেবে কাজ করেছেন। পেছন থেখে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরই তিনি বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হোন।
২০১৫ জোলানি আসাদকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়েছিল পশ্চিমাদের। তৎকালীন সময়ে তিনি আলাউিইট সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পশ্চিম দেশগুলোর টার্গেট থেকে তার সংগঠন আল নুসরা ফ্রন্টকে রক্ষা করতে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তার এই সিদ্ধান্তের জন্য এএফপির এক বিশ্লেষক বলেছিলেন, জোলানি এই পদক্ষেপের মাধ্যমে একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার পথ নির্ধারণের সূচনা করেছেন।
এরপর ২০১৭ সালে জোলানি এইচটিএস ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার অন্যান্য ইসলামপন্থী গোষ্ঠরি সঙ্গে একীভূতি হয়ে ইদলিব প্রদেমের বিস্তীর্ণ এলাকা নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে যান।
আলেপ্পো প্রদেশে একটি বিশাল সংখ্যক খ্রিস্টান জনগোষ্টী বসবাস করে। জেলোনি এই সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছিলেন, তার 'শাসনের' অধীনে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। এছাড়া তিনি তার যোদ্ধাদেরকে আসাদের শাসন থেকে "মুক্ত" করা এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
এই পদক্ষেপের জন্য সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ফেলো অ্যারন লুন্ড এএফপিকে বলেছেন, জোলানি এই মুহূর্তে ‘স্মার্ট জিনিস’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনার স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক আতঙ্ক যত কম হবে জেলোনি একজন বিষাক্ত জিহাদি চরমপন্থীর পরিবর্তে একজন দায়িত্বশীল অভিনেতা হিসেবে মনে হবে, তার কাজ তত সহজ হবে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পৃথক বিমান হামলায় অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে দেইর এল-বালাহে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় নেওয়া একটি শিবিরে বিমান হামলায় শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়। হামলার সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদ ফায়াদ আল-জাজিরাকে বলেন, মাঝরাতে একটি বিকট বিস্ফোরণে আমরা জেগে উঠি। জোরে চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে দেখি অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। একটি পরিবারের স্বামী -স্ত্রী এবং তাদের সন্তানরা সবাই মারা গেছে। হামলায় আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছয়জনসহ ১১২ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রোগী রয়েছে এবং অন্যরা অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ এবং অক্সিজেন সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা ছাড়া অস্ত্রোপচারের রুমে প্রবেশ করা সম্ভব না।
এদিকে আল-বুরেজ ক্যাম্পের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, শুক্রবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৭০৮ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬ হাজার ৫০ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে দুই যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু ‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় অনেকে বলছেন বিদ্রোহীদের গুলিতে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে এতথ্য নিশ্চিত বা যাচাই করতে পারেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা যখন রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করছেন, সে সময় দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজ আকাশে উড়াল দেয়।
‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ দামেস্ক থেকে উড়াল দেওয়া সর্বশেষ ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরাডার ২৪। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্যানুযায়ী, দামেস্ক থেকে ছাড়া ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরে ইউ–টার্ন নিয়ে উড়ে যেতে শুরু করে এবং কয়েক মিনিট পর সেটি মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার সময় উড়োজাহাজটি হোমসের ওপর ছিল বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
ওই উড়োজাহাজে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন কি না, রয়টার্স তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, রোববার স্থানীয় সময় ভোরে উড়োজাহাজে দামেস্ক ছেড়েছেন আসাদ। তখন তারা বলেছিলেন, আসাদের গন্তব্যে কোথায়, তা তারা জানেন না।
দামেস্ক বিমানবন্দর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আসাদ সিরিয়া ছেড়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিদ্রোহীরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঠিক আগে বাশার আল-আসাদকে বহনকারী উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের গুলিতে আসাদের প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে স্বাধীনভাবে হিন্দুস্তান টাইমস খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বেশকিছু ভিডিওতে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এটি আসাদকে বহনকারী প্লেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই দাবিগুলো কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে নিশ্চিত বা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে, বিদ্রোহীরা উত্তর সিরিয়ার বড় অংশ দখল করার পরপরই বাশার আল-আসাদের পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায়। ক্রেমলিনের একটি সূত্র ব্লুমবার্গকে এই তথ্য নিশ্চিত করে। তারা জানায় আসাদকে রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন আসাদের সৈন্যদের পিছু হটার ঘটনায় বিরক্ত।
আমেরিকা অবশ্য প্রকাশ্যে সিরিয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি খুব খারাপ। ওরা আমাদের বন্ধু নয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আমেরিকার কিছু করার নেই। এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। ওখানে যা হচ্ছে, হোক। আমরা এর মধ্যে নাক গলাব না।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম থেকেই বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছে আমেরিকা। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৩ সালে ঘৌটার হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে ছিল বহু শিশু। ২০১৭ সালের হামলাতেও মৃত্যু হয় শতাধিক সিরিয়ান নাগরিকের। জাতিসংঘের একাধিক দল সিরিয়ায় গিয়ে নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি।
সিরিয়ার একটি রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। কারখানাটি বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়ার আশঙ্কায় এই হামলা চালানো হয়।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের খবরে উচ্ছ্বসিত সিরিয়াবাসী। এমন সময়ে সিরিয়ার একটি রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, সাবেক সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাটি বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়ার আশঙ্কায় এই হামলা চালানো হয়।
আইডিএফ প্রধান শনিবার সিরিয়া সীমান্ত পরিদর্শনের সময় বলেন, 'স্থানীয় কোনো পক্ষ যেন আমাদের দিকে অগ্রসর না হয়। প্রয়োজনে শক্তিশালী আক্রমণ ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।'
তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের খবরে আইডিএফ বলেছে, তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
এর আগে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, পরিস্থিতি বিবেচনায় আইডিএফ সিরিয়ার সীমান্তবর্তী গোলান হাইটস অঞ্চল জুড়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী অঞ্চল অতিক্রম করছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।