বলিভিয়ায় সামরিক ঘাঁটি দখল, ২০০ সৈন্য অপহরণ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র এই হামলার মাধ্যমে হামলাকারীরা সামরিক ঘাঁটিটি দখল করে নেয় এবং কমপক্ষে ২০০ সৈন্যকে অপহরণ ও জিম্মি করে।

রোববার (৩ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০০ সৈন্যকে অপহরণ ও জিম্মি করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সশস্ত্র ওই দলটি বলিভিয়ার কোচাবাম্বা শহরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এছাড়া গোষ্ঠীটি সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। তিনটি সামরিক ইউনিটে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করে।

এদিকে স্থানীয় টেলিভিশনে পিঠের পেছনে বাঁধা অবস্থায় সারি সারি সৈন্যদের ছবি দেখানো হয়েছে। এসময় তাদেরকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়। সামরিক স্থাপনাটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের দখলে নেওয়ার পরপরই দেশটির সামরিক বাহিনী সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বলিভিয়ার বার্তাসংস্থা এএনএফ জানিয়েছে, এই স্থাপনায় থাকা বন্দি সৈন্যদের মধ্যে একজন তার কমান্ড সেন্টারে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন- সশস্ত্র দলটি কর্তৃপক্ষকে (দেশে চলমান) অবরোধে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

মোরালেসের সমর্থকরা গত ১৯ দিন ধরে সারা দেশে অবরোধ তৈরি করেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে তদন্ত বন্ধ করার দাবি করছেন তারা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরালেস।

এর আগে গত রোববার মোরালেস তার গাড়িতে গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এটিকে তাকে 'হত্যার চেষ্টা' বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। তবে বলিভিয়ার সরকার মোরালেসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রসঙ্গত, ইভো মোরালেস ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি পদত্যাগ করেন।