পাগলাটে ট্রাম্পের বিতর্কিত যত মন্তব্য

  হাতি-গাধার লড়াই ২০২৪
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাত পেরোলোই সবচেয়ে আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের এবারকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১ নভেম্বর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিকে তাক করে কয়েক ব্যারল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। নিজের এ বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিক চেনিকে খুনি বলে সম্বোধন করেন তিনি। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের এক বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

বিজ্ঞাপন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহিংস কথাবার্তা যেন থামতেই চাচ্ছে না। রোববার (৩ নভেম্বর) তার আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল গণমাধ্যম। তিনি বলেছেন, কেউ যদি মিথ্যা খবর দেয় তাদের গুলি করলে, তিনি কিছু মনে করবেন না। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তার ধারাবাহিক বিষোদগারের এটি একটি নতুন সংযোজন। পেনসিলভানিয়ার লিটিটিজে বক্তব্যে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের এখানেই অনেক ফেইক নিউজের কর্মীরা রয়েছে। কেউ যদি এই ফেইক নিউজওয়ালাদের গুলি করতে পারে তাহলে সে আমার মন পাবে। আর আমি তাতে কিছুই মনে করবো না।

সম্প্রতি উইসকনসিনের এক নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসকে জন্মগতভাবে 'মানসিক প্রতিবন্ধী' বলে আখ্যা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই শব্দচয়ন নিয়ে নিজ দলেই সমালোচিত হয়েছেন ট্রাম্প। অস্বস্তিতে পড়েছেন রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাকর্মীও। প্রকাশ্যে ট্রাম্পের এই কৌশলের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ।

বিজ্ঞাপন

অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য বজায় রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসীদের ‘ভয়াবহ ও রক্তপিপাসু অপরাধী’ বলে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তবে একইসঙ্গে উচ্চশিক্ষায় মার্কিন ডিগ্রিধারীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপ এবং মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক হয়েছে বারে বারেই। কিন্তু পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে একটুও সরেননি তিনি।

বেফাঁস কথাবার্তা আর ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেন একে অন্যের পরিপূরক! আর এইসব বেফাঁস মন্তব্যের কারণে অনেকে ট্রাম্পকে পাগল বলে থাকেন। গত ২৩ অক্টোবর মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডিট্রয়েটে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা অংশ নিয়ে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বয়স্ক’ ও ‘পাগলাটে’ আখ্যা দিয়ে তাকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।