শেষের দিকে ভোটগ্রহণ, এগিয়ে ট্রাম্প
হাতি-গাধার লড়াই ২০২৪যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি প্রায় শেষ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকটি রাজ্যে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। এদিকে কেন্টাকি ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলোর দরজা বন্ধ হয়। আর এখান থেকেই আসা শুরু করে ভোটের ফলাফল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ভোট গণনা টেবিলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণনা করা ভোটের ৭০ হাজার ১১৪ ভোট পেয়েছেন কমালা হ্যারিস (৩৬ শতাংশ)। অপরদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১১৪ ভোট (৬৩ শতাংশ)। প্রতি মিনিটে মিনিটে ভোট গণনার সংখ্যা বেড়ে চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অবশ্য যিনি বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। এর বদলে ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। জাতীয় এ ভোট পরবর্তী প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রতিনিধি সভা ও সিনেট গঠনও নির্ধারণ করবে।
আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ভার্মন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১২টায়) ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। তবে বেশির ভাগ রাজ্যে ডাকযোগে এবং আগাম ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় ইতোমধ্যেই ৮ কোটির বেশি মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভোটের মহারণ শুরু হলেও সবার অপেক্ষা কার হাতে উঠছে হোয়াইট হাউসের চাবি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র কি তার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে, নাকি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পদ্ধতি বেশ জটিল। পপুলার ভোটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি মিলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রয়োজন। একেক রাজ্যে একেক সংখ্যায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে। যে রাজ্যে যে দল জয়ী হয়, সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সেই দল পেয়ে যায়। অর্থাৎ উইনার্স গেট অল।
এবারের নির্বাচনে সাতটি সুইং স্টেটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এসব সুইং স্টেটের মধ্যে উইসকনসিনে ১০টি, পেনসেলভিনিয়ায় ১৯টি, আরিজোনায় ১১টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, মিশিগানে ১৫টি, নেভাদায় ৬টি এবং নর্থ ক্যারেলিনায় ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির জন্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তিনটি।