যুক্তরাষ্ট্রে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ভারতীয় আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, আদানিকে সুরক্ষা দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল কৌঁসুলিরা গৌতম আদানি ও তার কয়েকজন সহযোগীকে ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাহুল।
সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি ও আদানিকে কার্যত একাসনে বসিয়ে আক্রমণ করেন লোকসভার বিরোধীয় এই নেতা। তিনি বলেন, মোদি এবং আদানি দু’জনেই দুর্নীতিগ্রস্ত। আজই আদানিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কিন্তু আদানিজিকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই। কারণ উনি নিজেই আদানির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। বিষয়টি নিয়ে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেস সরব হবে বলেও জানিয়েছেন রাহুল।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ২ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গৌতম আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানি, দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প, যা থেকে ২০ বছরের ২০০ কোটি ডলার লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই প্রকল্পের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২২৩৭ কোটি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২২৩৭ কোটির বেশি ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আদানিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। অন্য ছয় অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডে’র সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রুপেশ আগরওয়াল, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল এবং দীপক মলহোত্র।