৫৩৮’র মধ্যে ট্রাম্প ৩১২, কমলা ২২৬

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউজ ছাড়ার চার বছর পর আবারও ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে। কোটি কোটি আমেরিকান ভোট দিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে রাজসিক বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার চারদিন পার হয়ে গেলেও দোদুল্যমান রাজ্য অ্যারিজোনাতে ভোটের ফলাফল বাকি ছিল। অবশেষে এই রাজ্যের ফলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেয়েছেন। এতে করে একে একে সাতটি সুইং স্টেটই জিতলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যারিজোনায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ১১টি। এ ভোট নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাম্পের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩১২। যা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটের থেকে অনেক বেশি। ট্রাম্পের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে গেছে ২২৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।

ভোটের আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল, ইতিহাস তৈরির হাতছানি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সামনে। অপরদিকে গত নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি মুছে প্রত্যাবর্তনের প্রত্যয় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

কমলা হ্যারিস-ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবারটারিয়ান পার্টির চেইস অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র (নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে তার নাম রয়েছে) ও করনেল ওয়েস্ট (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণার পর্বকে ইতিহাসের অংশ বললে কম বলা হবে না। প্রচারণার সময় ট্রাম্পকে দুই দফা হত্যার চেষ্টা করা হয়, তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাম সরিয়ে নেন।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে হয়েছে, সেসব অঙ্গরাজ্যে আমেরিকানরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটারদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পেছনে অর্থনীতি ও অভিবাসনের মত ইস্যুগুলোকে সামনে রাখছেন।

৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি মিলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রয়োজন। একেক রাজ্যে একেক সংখ্যায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে। যে রাজ্যে যে দল জয়ী হয়, সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সেই দল পেয়ে যায়। অর্থাৎ উইনার্স গেট অল।