এফবিআই প্রধান হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাশ প্যাটেল

কাশ প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফিবআই) প্রধান হচ্ছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাশ প্যাটেল। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রিস্টোফার ওয়েকে সরিয়ে তাঁকে এ পদে বসানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদেন এসব তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের খবর আসতে শুরু করার পর থেকেই বারবার আলোচনায় উঠে আসেন কাশ প্যাটেল।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪৪ বছর বয়সী কাশ প্যাটেলের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তার পরিবার পূর্ব আফ্রিকা থেকে কানাডার পথে গিয়েছিল আমেরিকায়। সেই থেকেই প্যাটেল পরিবারের বসবাস আমেরিকায়।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এবং প্রতিরক্ষা সচিব উভয়কেই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্যাটেল। এর আগে এফবিআইকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং ট্রাম্পের এজেন্ডাকে সমর্থন করতে অস্বীকার করা যেকোনো কর্মচারীর পদগুলোকে শুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গত সেপ্টেম্বরে কাশ প্যাটেল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এফবিআইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমি এ প্রক্রিয়া ভেঙে ফেলব। আমি সেই বিল্ডিংয়ে কাজ করা সাত হাজার কর্মচারীকে নিয়ে যাব এবং অপরাধীদের তাড়াতে তাদের আমেরিকা জুড়ে পাঠাব। যাও পুলিশ হয়ে যাও। তুমি পুলিশ। যাও পুলিশ হয়ে যাও।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পরই ট্রাম্পের বহু সহযোগী এফবিআইয়ের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে কাশ প্যাটেলের নাম আলোচনায় আনেন। এককালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টার পদে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে আমেরিকার হাউস ইন্টালিজেন্স কমিটি থেকে কাশ প্যাটেল দেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল স্টাফ-এর অংশ ছিলেন। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ,সংক্রান্ত নানান ইস্যুতে কাশ প্যাটেলের পরামর্শে মুগ্ধ হন ট্রাম্প।

এরআগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী তুলসী গ্যাবার্ডকে আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক এজেন্সি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের (এনআইএইচ) প্রধান হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্যকে মনোনীত করেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। এরপর দায়িত্ব বুঝে নেবেন তাঁর মনোনীতরাও।

সূত্র: রয়টার্স