সিরিয়ার দারা শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের
সিরিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর দারা দখল করেছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী বাহিনী। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করছে বিদ্রোহীরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দেশটির দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ শহর দারার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ার বিদ্রোহী সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দারা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছেন তারা। বিনিময়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) উত্তরে রাজধানী দামেস্কে তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর পথ করে দিতে হবে বিদ্রোহীদের।
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বিদ্রোহীরা এবং দারা শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় রাস্তায় বিজয় উদযাপন করছে। তবে এ বিষয়ে সামরিক বা আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দারার পতনের মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনী এক সপ্তাহের মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালো।
১৩ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় ১ লাখের বেশি জনসংখ্যা ছিল দারায়। শহরটি আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। এটি জর্ডান সীমান্তবর্তী একটি প্রদেশের রাজধানী। যে প্রদেশটিতে প্রায় ১০ লাখ লোকের বাস।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্রোহীরা দাবি করে, তারা রাজধানী ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হোমস শহরের প্রান্তে অগ্রসর হয়েছে।
ইসলামপন্থী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্ভুক্ত বিদ্রোহী দলগুলোর একটি জোট হোমসে আসাদ সরকারের প্রতি অনুগত বাহিনীকে আত্মসমপর্ণের শেষ আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের একটার পর একটা শহর দখল করতে চালানো অভিযানকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ হোমস থেকে লাতাকিয়া এবং তারতুসের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।