গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ আরও ১৬ জন নিহত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পৃথক বিমান হামলায় অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে দেইর এল-বালাহে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় নেওয়া একটি শিবিরে বিমান হামলায় শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়। হামলার সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদ ফায়াদ আল-জাজিরাকে বলেন, মাঝরাতে একটি বিকট বিস্ফোরণে আমরা জেগে উঠি। জোরে চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে দেখি অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। একটি পরিবারের স্বামী -স্ত্রী এবং তাদের সন্তানরা সবাই মারা গেছে। হামলায় আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছয়জনসহ ১১২ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রোগী রয়েছে এবং অন্যরা অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ এবং অক্সিজেন সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা ছাড়া অস্ত্রোপচারের রুমে প্রবেশ করা সম্ভব না।
এদিকে আল-বুরেজ ক্যাম্পের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, শুক্রবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৭০৮ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬ হাজার ৫০ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।