ভারতে ভর্তুকি বাতিলের ফলে জাহাজে হজ যাত্রা



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
বিতর্ক-আপত্তি ও সবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত সরকার, তারই অংশ হিসেবে জাহাজে করে হজে যাওয়ার সুযোগ নতুন করে চালু করা হচ্ছে। ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি ঘোষণা করেছেন, জাহাজে করে হাজিদের পাঠানো নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এখন এই ব্যবস্থার খুঁটিনাটি নিয়ে দু’পক্ষ আলাপ আলোচনা শুরু করবে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে সরকারি উদ্যোগে মুম্বাই থেকে হাজিদের জন্য জাহাজ সার্ভিস চালু হয়। তবে মুম্বাই-জেদ্দা সেই সার্ভিস ১৯৯৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ভারত থেকে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মুসলিম হজ করতে যান। তাদের সিংহভাগই বিমান টিকেটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি পান। এই ভর্তুকি পায় মূলত সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। ৭০এর দশকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সময় থেকে চালু হওয়া হজ ভর্তুকি নিয়ে ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপত্তি-বিতর্ক বাড়ছে। পাশাপাশি, কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে ২০২২ সালের মধ্যে হজ ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, হজে ভর্তুকি ইসলামের অনুশাসনের বিরোধী এবং এই ভর্তুকি বরঞ্চ মুসলিম নারীদের শিক্ষায় ব্যবহার করা অনেক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুসলিম নেতাই সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশকে স্বাগত জানান। ওই নির্দেশের পর ভর্তুকি কমছে। ২০১৩ সালে যেখানে ৬৮০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল, গত বছর তা কমে দাঁড়ায় ৪০৫ কোটি। ভারতে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২২ এর পর ভর্তুকি ছাড়াও যাতে কম খরচে মুসলিমরা হজে যেতে পারেন, তার জন্য নতুন করে জাহাজ সার্ভিস চালুর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাকভি বলেন, জাহাজ এখন অনেক আধুনিক, আরামাদয়ক ও দ্রুতগতিসম্পন্ন। আগে যেখানে মুম্বাই থেকে জেদ্দা যেতে ১৫ দিন লেগে যেত, এখন তিন-চার দিনেই যাওয়া সম্ভব। এদিকে, হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার জন্য ভারত সরকার উদ্যোগ নিলেও, হিন্দুদের বেশ কিছু ধর্মীয় আচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভর্তুকি নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধছে বলে বিবিসির নয়া দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন। এক হিসাবে জানা গেছে, শুধু হিন্দুদের কুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বছরে এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি খরচ করে।
   

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা, দেশজুড়ে দোয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে রোববার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। যা উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে।

সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্য পুরো দেশজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি বলেছেন, তিনি নিশ্চিত করেন, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। এর বেশি কিছু তিনি জানাননি। তবে তিনি জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, বেশ কয়েক উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কুয়াশা ও বাজে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

"বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দলগুলি তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বের করা হবে," তিনি যোগ করেন।

তবে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদির মতে, উদ্ধার টিম হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এটি হতে পারে কারণ দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ বা এমনটিও হতে পারে যে এলাকাটি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত নয়৷ এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।

৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গতকাল শনিবার আজারবাইজানে যান ইব্রাহিম রাইসি। আজ রোববার সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা তার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।

;

বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফিরছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী ইরানের একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বহনকারী হেলিকপ্টারটি দ্রুতগতিতে ফারজাকান এলাকায় অবতরণ করে বলে জানা গেছে।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইরানের বার্তাসংস্থা ইরনা (ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি) জানায়, হেলিকপ্টারটি দ্রুতগতিতে অবতরণ করে। তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ অন্যান্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হচ্ছে বলে ইরনা’র এক সংবাদাতা জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমাটি, তাবরিজের শুক্রবারের প্রার্থনার নেতা হোজ্জাতুলেসলাম আল হাশেম এবং আরো কয়েকজন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, বাজে এক আবহাওয়া বিরাজ করায় উদ্ধার অভিযান চালানো এবং উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশখানিকটা সময় লাগছে।

তিনি বলেন, উদ্ধারকারীদল শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং সবাইকে পরবর্তী তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

;

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিখোঁজ রয়েছেন।তাকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে রোববার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

এসময় হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও আজারবাইজান প্রদেশের ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর সেটি থেকে জরুরি ফোনকল এসেছিল। হেলিকপ্টারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোন করেছিলেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, বিস্তারিত জানতে কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করছে।

২০২১ সালে ৬৩ বছর বয়সী রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। অনেকে তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে মনে করেন।

;

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবান।

শনিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পাকতিয়ায় বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের সঙ্গে আলাপ করে এ কথা জানিয়েছেন এক গোত্র প্রধান। ৫ দিন ধরে পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া অঞ্চলে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলমান।

রোববার (১৯ মে) আনোয়ার সিদ্দিক নামে আফগানিস্তানের এক গোত্র প্রধানের বরাত দিয়ে দেশটির ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আমু টিভি জানায়, পাকতিয়া সীমান্তের জারি আরয়ুব এবং ডান্দ-ই-পাটান অঞ্চলে পাকিস্তানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

তিনি বলেন, দুটি দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতির জন্য তিনটি শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছে। শর্ত তিনটি হচ্ছে- কোনো পক্ষই আর কাউকে উস্কে দেবে না; সীমান্ত আবার খুলে দিয়ে সীমান্ত পথে দুই দেশের মধ্যে চলাচল ফের শুরু করা হবে এবং দুই দেশের ২০ জন করে মোট ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নজর রাখবে যেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তযুদ্ধ আর না হয়।

কুররাম সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের যাত্রীরা বেশি আসা-যাওয়া করেন। যুদ্ধের কারণে এ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।

;