সোনার বিছানায় ঘুমাতে চাইলে যেতে হবে এই হোটেলে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাচীনযুগ থেকেই সোনা আভিজাত্যের এক অন্যতম প্রতীক। তা সে অলঙ্কারই হোক বা সোনা দিয়ে তৈরি অনান্য নানান চমকপ্রদ জিনিসই হোক। সোনার গাড়ি, আসবাব পত্র, এমনকি সোনার তৈরি টয়লেট কমোড আছে। এছাড়া অ্যাপেল যে আইফোন ও আইপ্যাডও সোনায় মুড়ছে সে খবর তো এতদিনে অনেকের কাছেই রয়েছে। এবার সেই সোনার তালিকায় নবতম সংযোজন হল, সোনা দিয়ে তৈরি বিছানার চাদর। চমকে উঠলেন নাকি? বিশ্বাস করুন আপনি ইচ্ছা করলেই অর্থাৎ পকেট পারমিট করলেই ঘুমাতে পারেন এই সোনার বিছানায়। যার ব্যবস্থা করেছে ইতালির মিলানের পাঁচতারা একটি হোটেল।

এর আগে ভারতের ‘সোনার ছেলে’র খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যিনি ১ কোটি ২৭ লক্ষ রুপি দিয়ে বানানো সোনার তৈরি শার্ট পড়েন। পুনের এই ব্যবসায়ীর নাম দত্ত ফুগে। এত্ত দাম বলে যাঁরা আঁতকে উঠছেন, তাঁদের স্বস্তির জন্য জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এই জামাটি সাড়ে তিন কেজি ওজন বিশিষ্ট ২২ ক্যারেট বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে তৈরি। তবে কেবল জামাতেই ক্ষান্ত নন এই সোনার ছেলে। জুতো এমনকি মোবাইল হ্যান্ড সেটটি পর্যন্ত তিনি মুড়ে রেখেছেন খাঁটি সোনা দিয়ে।

তবে বিছানার চাদর নাকি মিলানের পাঁচতারা হোটেলটি প্রথম বানিয়েছে। দামও নাকি দুঃস্বপ্নের মত! ইতালির ওই হোটেল সংস্থার দাবি বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাদর এটি। বেডকভারটি লিলেন কাপড়ের সাথে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে বোনা হয়েছে। সম্প্রতি হোটেল সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের অতিথিদের জন্য বিশেষ এক প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অফার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় আড়াই লক্ষের কিছু বেশি দিলেই একরাতের জন্য পরশ মিলতে পারে অভিনব এই বেডকভারটির।

   

রাইসির মৃত্যুতে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির কোনো পরিবর্তন হবে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিহত হওয়ার ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত চলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তবে পররাষ্ট্রনীতির কোন পরিবর্তন হবে না বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তারা বলছেন, দেশটির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীন। তাই রাইসির মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। কিন্তু বৈদেশিক নীতিগত কোনো পরিবর্তন হবে না।

রয়টার্স জানিয়েছে বিশ্লেষকরা আরো মনে করছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যুতে সেখানে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হবে, যার সুবিধা নিতে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা কৌশল শুরু করবেন।

রাইসির মৃত্যুকে ইরানের ক্ষমতাশালী কর্মকর্তারা একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখবেন। তারা নিজেদের ক্ষমতার কাঠামোকে আরও পোক্ত করতে এতোদিন এমনই একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রাইসির আকস্মিক মৃত্যু তাই খামেনির জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

উল্লেখ্য, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রবিবার (১৯ মে) হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ আরও সাতজন নিহত হন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের আলী ভায়েজ বলেছেন, ‘রাইসির মৃত্যুতে এমন একজন উত্তরসূরি আবির্ভূত হতে পারেন, যিনি রাইসির মতোই রক্ষণশীল এবং রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি অনুগত।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ তিনি আরো বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রনীতিতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইসলামিক রিভ্যুউলিশনারি গার্ড তাদের কৌশলগত আধিপত্য বজায় রাখবে।’

জিন জাওরেস ফাউন্ডেশনের ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফরিদ ভাহিদ বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাইসির জন্যে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল। ইরানী রক্ষণশীলরা এখনও এমন কাউকে খুঁজে নেবেন যিনি বেশি সমস্যার কারণ হবেন না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের (ইউএএনআই) নীতি পরিচালক জ্যাসন ব্রোডস্কি বলেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মূলত আজ্ঞা বাস্তবায়নকারী, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নন। তাই ইরানের নীতি ও সেই নীতিগুলোর মৌলিক বিষয় একই থাকবে।’

ইসরায়েলের রাইচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অরি গোল্ডবার্গ বলেন, ‘রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার হয়ে কাজ করতেন। তিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দূর্বল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ছিলেন।’

গোল্ডবার্গের মতে, এখন খামেনিকে দেখাতে হবে, তিনি এই পরিবর্তনের সময় দেশকে কীভাবে সামলান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিউইশ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অব আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল মাকোভস্কি বলেন, ‘ইরান এখন নিজের বিষয় সামলাতে বেশি ব্যস্ত থাকবে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশি যুক্ত হয়ে পড়বে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও জটিল হবে।’

উল্লেখ্য, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী খামেনির আস্থাভাজন হিসেবে অন্তর্বন্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

এখন সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি নিয়ে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান, পার্লামেন্টের স্পিকার ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে গার্ডিয়ান কাউন্সিল নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে।

তবে নির্বাচনে যিনিই আসুন তাতে ইরানের নীতির তেমন কোন পরিবর্তন না হওয়ার কথাই বলছেন সবাই।

এ প্রেক্ষিতে ভাহিদ আরো বলেন, ‘ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র বা তার পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে আমূল পরিবর্তন হবে যদি শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।’

তিনি বলেন, ‘রাইসির মৃত্যু কিছু সূক্ষ্মতা, কিছু পার্থক্য আনতে পারে, তবে যতদিন নেতা জীবিত থাকবেন এবং গার্ডরা সেখানে থাকবেন তেমন কোনও বড় পরিবর্তন আশা করা উচিত নয়।’

;

তাবরিজে রাইসির শেষ বিদায়ে মানুষের ঢল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

এরপর রাইসির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেহরানে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বুধবার মাশাহাদে নিয়ে যাওয়া হবে। জন্মশহর মাশাহাদেই রাইসির দাফন হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তাসংস্থা ইরনা।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।

পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।

রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।

তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

;

ইসরায়েলের হামলায় ৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নাকোরায় চারটি ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ৫ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ হিজবুল্লাহ সদস্য।

দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের সামরিক সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের যোদ্ধারাও বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি স্থাপনায় আক্রমণ করে জবাব দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে সাত মাসে আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, লেবানন থেকে চালানো হামলায় সীমান্তে ১৪ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এই হামলায় উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

মূলত গাজায় যুদ্ধের জেরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত জুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় করছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা তার মিত্র হামাসকে সমর্থন করতে এবং লেবাননে আক্রমণ চালানো থেকে ইসরায়েলকে নিবৃত্ত করতে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর ৯ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবেই সীমান্তে গুলি বিনিময় করছে।

;

রাইসির উদ্ধারকার্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছিল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোনও কারণে’ ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেই সহায়তা করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান সরকার আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম- আমরা সহায়তা করতে ইচ্ছুক। এটি আসলে এমন কিছু যা আমরা এই পরিস্থিতিতে যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রেই করব। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক্যাল কিছু কারণে, আমরা ইরানকে সেই সহায়তা প্রদান করতে পারিনি।’

তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হয়েছিল তার কোনো বর্ণনাও করেননি ম্যাথিউ মিলার। কিন্তু তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর অবিলম্বে রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পেতে সাহায্য চেয়েছিল ইরান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে রাইসিসহ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর প্রধান শত্রু ইরান তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও’ সেই সহায়তা করতে পারেনি দেশটি।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ওয়াশিংটনের সাথে তেহরানের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে খোলামেলা সংঘর্ষের পর স্থিতিশীলতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান ওমানে বেশ গোপনেই তাদের সর্বশেষ আলোচনা সম্পন্ন করেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ‘আনুষ্ঠানিক শোক’ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সাথে সাথে আমরা ইরানের জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করছি।’

অবশ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই শোক ও সমবেদনা প্রকাশকে রাইসির প্রতি সমর্থন হিসেবে নয় বরং বৈশিষ্ট্যসূচক মানদণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসি এমন একজন লোক ছিলেন যার হাতে প্রচুর রক্তের দাগ ​​ছিল’।

;