মিয়ানমারে বাঘ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
২০১৮ সালে মিয়ানমারের জঙ্গলে তোলা  বেঙ্গল টাইগার, ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালে মিয়ানমারের জঙ্গলে তোলা বেঙ্গল টাইগার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জঙ্গলে বাঘের খাবার সংকট, অবৈধ বন্যপ্রাণীর বাজার, সংকুচিত আবাসস্থল ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের কারণে মিয়ানমারে বাঘ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটিতে সাধারণত ইন্দোচায়না ও বেঙ্গল টাইগার দেখতে পাওয়া যায়। 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড প্রকল্পের পরিচালক ম্যানেজার ইউ পিং সো বলেন, বাঘ জঙ্গলে তাদের শিকারের জায়গাগুলোতে পশুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে বন রক্ষা করে থাকে। এর ফলে বনের ইকোসিস্টেম বজায় থাকে।

বাঘের সংখ্যা কমে গেলে বনের উপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনযাত্রা প্রভাবিত হয়। বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেলে বনের অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং বনাঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিঘ্নিত হবে।

মিয়ানমারকে অবশ্যই বাঘের বংশবৃদ্ধি ও সংরক্ষণের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এই সংকট সমাধানে স্থানীয় সম্প্রদায়েরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

মিয়ানমারে বাঘকে জীব বৈচিত্র্য এবং নিরাপদ অঞ্চল আইনের অধীনে সুরক্ষিত করা হয়েছে। যেখানে আইন মোতাবেক বাঘ শিকার, হত্যা, আহত, সংগ্রহ ও ব্যবসায়ের অভিযোগে দণ্ডিতরা তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবে।

এদিকে মিয়ানমারসহ এশিয়াতে বাঘ পাচারকারীদের একটি বড় কালোবাজার রয়েছে বলে জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম সম্পর্কিত সংস্থাটি জানিয়েছে (ইউএনওসি)।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাঘ পাচারকারী অধিকাংশ কালোবাজারিরা লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম হয়ে অবৈধভাবে চীনের গ্রাহকদের কাছে পাচার করে থাকে। বাঘের চামড়া, হাড়, মাংস দিয়ে অলঙ্কার ও ঐতিহ্যবাহী ওষুধের তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাঘের দেহের অন্যান্য অংশ এবং হাড় দিয়ে তৈরি ওষুধ পুরুষের জন্য টনিক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৩২০০ থেকে ৩৯০০ হাজার বাঘ রয়েছে। যেখানে গত শতকে বাঘের সংখ্যা লাখের ওপর ছিল। বর্তমানে জঙ্গলের চেয়ে খাঁচায় বাঘের সংখ্যা বেশি রয়েছে। চীন, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং আফ্রিকান দেশগুলিতে ৭ হাজারেরও বেশি বাঘের প্রজনন কেন্দ্রে লালিত পালিত হচ্ছে। এ সকল কেন্দ্র থেকে বেশিরভাগ বাঘজাত পণ্য বাজারে বিক্রি করা হয়। বাজারে প্রায় ৩০ শতাংশ বাঘজাত পণ্য বনের বাঘ থেকে আসে। 

১৯৯৯-২০০২ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাঘ শুমারি অনুসারে মিয়ানমারে বেঙ্গল টাইগার এবং ইন্দো-চায়না টাইগার খোঁজ পাওয়া যায়।

মিয়ানমারজুড়ে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষের ফলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাঘ যে অঞ্চলে বাস করে সেখানকার মাত্র ১০ শতাংশ জরিপ করে মিয়ানমারের বন্যজীবন সংরক্ষণ সোসাইটির মুখপাত্র ইউ হলা নাইং বলেন, আমরা ক্যামেরার রেকর্ডের ভিত্তিতে মাত্র ২০টি বাঘ সনাক্ত করতে পেরেছি। বাঘগুলি মূলত উত্তর মিয়ানমারের উপরের দিকে সিন্ডউইন নদীর অববাহিকা এবং দক্ষিণে দাওয়ানা-তানিনথারি রেঞ্জে বাস করে। তবে বাঘের আবাসস্থল এবং নিরাপত্তা প্রশ্নে বাঘশুমারি করতে যাওয়া কর্মীদের পক্ষে তাদের কাজ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ইউ হলা নাইং বলেন, আমরা কিছু জায়গায় যেতে পারি তবে সবটাতে নয়। বাঘের বিলুপ্তি এড়াতে আমরা যে জায়গাগুলিতে ঢুকতে পারছি শুধু সেই জায়গাগুলোতে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা আমরা করতে পারি। এছাড়াও, বন্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে জঙ্গল সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

   

যুক্তরাষ্ট্রে ১২ সেকেন্ডে ৩০০ কোটি টাকা চুরি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা শেষ করা দুই ভাই নিজেদের লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাত্র ১২ সেকেন্ডে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন হলেন ২৪ বছর বয়সী আন্তন পেরেইর-বুয়েনো এবং অন্যজন ২৮ বছর বয়সী জেমস পেরেইর-বুয়েনো।

ক্রিপটো মুদ্রায় বড় ধরনের চুরির অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের চুরির এই ঘটনাটিকে একটি জলজ্যান্ত উপন্যাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কৌঁসুলিরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া ওই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ক্রিপটো মুদ্রা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এমআইটিতে তারা যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়েই ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৩০০ কোটি টাকা চুরি করেছিলেন আন্তন ও জেমস। কাজটি করার সময় দুই ভাই একটি সফটওয়্যার কোডের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্লোজ হয়ে যাওয়া একটি লেনদেনে প্রবেশ করে ক্রিপটো মুদ্রার গতিবিধি পরিবর্তন করে। এরপর মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লোপাট করেন ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

বর্তমানে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি এবং পাচারের মতো ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আন্তনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বোস্টন থেকে, আর জেমসকে গ্রেফতা করা হয় নিউইয়র্কে। গ্রেফতারের ঘটনায় তাদের আইনজীবীদের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে প্রাথমিকভাবে তারা কোনো সাড়া দেননি।

কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন, চুরি করার পর আন্তন ও জেমস তহবিল ফেরত দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তারা তাদের চুরি করা ক্রিপটো মুদ্রা লুকানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন; যা তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হিসেবে কাজ করবে।

;

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে এমপিদের মারামারি 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে কিল–ঘুষি, মারামারি ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) পার্লামেন্টে অধিবেশন চলার সময় একটি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা বিতর্ক শুরু করলে তা পরে মারামারিতে রূপ নেয়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নতুন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ভোট শুরুর আগেই পার্লামেন্ট কক্ষের বাইরে কয়েকজন আইনপ্রণেতা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক সময় একে অপরকে ধাক্কা দেন। এরপর তারা স্পিকারের আসনের চারপাশে উঠে আসেন। কেউ কেউ ধাক্কা দিয়ে সহকর্মীকে মেঝেতে ফেল দেন। কেউ টেবিলের ওপর উঠে পড়েন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

গত জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লাই চিং। আগামী সোমবার তার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই লাই চিংয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি)। ফলে সরকার গঠন করতে অন্যান্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চেষ্টা করছে।

এরই মধ্যে পার্লামেন্টে প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধিরা। সেই সংস্কার প্রস্তাব ঘিরেই শুক্রবার পার্লামেন্টে মারামারি হয়েছে এমপিদের মধ্যে।

;

যুদ্ধবিরতির হলে সুবিধা পাবে রাশিয়া : জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া হামলা জোরদার করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।

রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিমাদের দ্রুত সমাধানের আহ্বানের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৭ মে) এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেছেন, ‘কিয়েভ কেবল ন্যায্য শান্তি চায়।’

জেলেনস্কি আরো আকাশ প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে মিত্রদের কাছে ফের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার জন্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয় হলো রুশ অঞ্চলে পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার সেনাদের ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষাপটে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন তার প্রতিরক্ষা লাইন ধরে রাখবে এবং রাশিয়ার বড়ো ধরনের যেকোনো অভিযান থামিয়ে দেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কেউ হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছে না।’

এদিকে অলিম্পিকের জন্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির যে আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলে সুবিধা পাবে রাশিয়া। যুদ্ধবিরতির সুযোগে সেনা ও গোলাবারুদ পাঠানোর আরো সুযোগ পেয়ে যাবে মস্কো।’

জেলেনস্কি আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে চীন ও উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চীনের মতো বিশ্ব খেলোয়াড়দের রাশিয়ার ওপর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের দেশগুলো যতো আমাদের পাশে থাকবে, রাশিয়াকে ততোটাই মূল্য চুকাতে হবে।’

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা চাই ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হোক। পশ্চিমারা চাচ্ছে যতো দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ হোক। তাদের কাছে সময় এবং আমাদের এটাই চাওয়া।’

রুশ আগ্রাসনের মুখে খারকিভ থেকে হাজার হাজার লোক পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘খারকিভের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানে স্থিতিশীলতা নেই।’

সাক্ষাতকারে জেলেনস্কি আকাশ প্রতিরক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশ রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় ইউক্রেনের কেবল ২৫ শতাংশ আকাশ প্রতিরক্ষা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের ১২০ থেকে ১৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দরকার।’ তিনি এসব যুদ্ধাস্ত্র দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

গাজায় ১০ দিন ধরে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় গত ১০ দিন ধরে কোন চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নতুন হামলা চালানোর প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) শুক্রবার (১৭ মে) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ডব্লিওএইচও’র মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেছেন, ইসরায়েল কর্তৃক রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি ৬ মে’র আগে।’

উল্লেখ্য, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গত ৭ মে রাফাহতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর তারা মিসরের সাথে গাজার সীমান্ত রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এই রাফাহ ক্রসিং মানবিক সরবরাহের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে, গাজা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এ প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের দিক থেকে গাজার কেরাম শালোম এবং এরেজ ক্রসিং কার্যত বন্ধ রয়েছে।

জাসারেভিক বলেন, ‘ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো চালানোর মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলোর প্রতিমাসে ১৮ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর কেবল এক লাখ ৫৯ হাজার লিটার জ্বালানি গাজায় প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত খুবই কম।’

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়।

এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।

জবাবে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫,৩০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

;