এনআরসি'র প্রতিবাদে আসামে ১২ ঘণ্টার হরতাল
ভারতে নাগরিক পুঞ্জি (এনআরসি) থেকে আসামের লাখো মানুষকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে হরতালের ডাক দিয়েছে প্রদেশটির রাজবংশী সম্প্রদায়। আসামের ৫-৬টি জেলায় এই সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকায় ওই স্থানগুলোতে হরতালের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে হরতালের প্রভাব আসামের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটিতে সেভাবে দেখা যায়নি বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ৩১ আগস্ট আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে অবৈধ তকমা দিয়ে বাদ দেওয়া হয় ১৯ লাখ মানুষের নাম। পরে তালিকায় স্থান পান তিন কোটি ১১ লাখ মানুষ। বাদ পড়া মানুষরা আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলে যে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।
এনআরসির বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে ১২০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পাবে না সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। তবে আইনি লড়াইয়ে যারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে তাদের কী পরিণতি ভোগ করতে হবে সে বিষয়ে দিল্লি থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি এখনো।
ইতোমধ্যেই আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষদের জন্যে সেখানে একটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা ভেবে, বাংলাদেশি মুসলিমদের তাড়াতে এ রাজ্যেও চালু করা হবে এনআরসি।
তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর বিজেপি।