মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সু চির বিচার হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
অং সান সু চি। ছবি: সংগৃহীত

অং সান সু চি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনে দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকায় নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। কারণ তিনিই দেশটির সর্বোচ্চ নেত্রী।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা, একবার নোবেল বিজয়ী গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরিচিত। তিনি রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর হামলার কারণে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা আরও বলেছেন, শুধু ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর নিষ্ক্রিয় থাকছেন সু চি। অথচ তিনি প্রথম মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের আইকন হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিলেন।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি নোবেল পুরস্কার পান। তবে পুরস্কার পাওয়ার সময় তিনি দেশটিতে গৃহবন্দী হিসেবে ছিলেন। সু চির ছিল দীর্ঘদিন আন্দোলনের ইতিহাস। তবে তার আন্দোলন সহিংস ছিল না, যা নোবেল কমিটি উল্লেখ করেছে।

মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থাকে দেয়া এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারে স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তদন্তকারীদের একটি প্যানেল বলেছে- মিয়ানমারে ৬ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে। যার জন্য সু চি তার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে সু চিকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছিল, যার প্রতিটি লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

১৯৯১ সালে অং সান সু চিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে নোবেল কমিটি বলেছিল, অং সান সু চিকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য তার অহিংস সংগ্রামের কারণে এটি দেয়া হচ্ছে। তিনি নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজন আদর্শ হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের বহু মানুষের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম মানবাধিকার ও জাতিগত শান্তি বজায় রাখায় তার শান্তিপূর্ণ সমর্থন ও অবিরত প্রচেষ্টার জন্যই এ পুরস্কার।

এখন তার ক্ষমতায়নে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ভিন্ন। আর তার সরকারই যখন রোহিঙ্গাদের নির্যাতন নিপীড়নের জন্য দায়ী, তখন নিপীড়ক হিসেবে তার নামও চলে আসে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের কারণে ২০১৬ সালেই সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার দাবি ওঠে। সে সময় অনলাইনে তার নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার জন্য এক আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লক্ষাধিক মানুষ।

মিশনের চেয়ারম্যান ও ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণহত্যা প্রতিরোধ, গণহত্যা তদন্ত ও শাস্তি কার্যকর করার ক্ষেত্রে মিয়ানমার তার দায়বদ্ধতায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেছেন যে নীতিতে ২০১৭ সাল থেকে সামরিক ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা অপরাধ করেছে তা থেকে এখনো দায়মুক্তি অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্য অব্যাহত রয়েছে। ঘৃণ্য বক্তৃতা অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার মিয়ানমার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এ রিপোর্টকে ‘একতরফা অভিযোগ’ এবং ‘ভুল তথ্য’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। জেনেভাতে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত কিউ মো তুন এই প্যানেলকে নিরপেক্ষতার অভাবের অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন এই প্রতিবেদনের ফলে মিয়ানমারের অর্থনৈতিক অসুবিধা হবে।

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক ইয়াং লি বলেছেন, অং সান সু চির অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজনৈতিক বন্দী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের মুখোমুখি ব্যক্তিদের তালিকা বেড়েছে। সামরিক বাহিনী কর্তৃক মানুষকে অপমান করার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়েছে।

মানবাধিকার কাউন্সিলকে সম্প্রতি ইয়াং লি রিপোর্ট করেছেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক অঞ্চলে হেলিকপ্টার গানশিপ, ভারী আর্টিলারি এবং ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করছে। রাখাইনে পুরুষদের মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছে এবং রাখাইন গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তদন্তকারীরা বলেছেন, সেনা পদক্ষেপের বিষয়ে অং সান সু চির কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না, তবে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে ৬০ শতাংশ আসন নিয়ন্ত্রণকারী একটি দলের প্রধান হিসেবে তিনি এমন একটি সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যে সমস্ত আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং মানবাধিকারের জন্য সু চির ব্যাপক ও বিস্তৃত দায়িত্ব ছিল।

তদন্তকারীরা আরও বলেছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী উত্তর মিয়ানমারে কাচিন, শান এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। যৌন সহিংসতা এই অভিযানের একটি প্রধান অংশ ছিল।

অনেক রোহিঙ্গা মুসলমান ক্যাম্পে আটকে রয়েছে, যেখানে তাদের পড়াশোনা বা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিরত রাখা হয়, জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব হয় না এবং বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের আওতায় থেকে যায়, এটি ‘অত্যাচারের হাতিয়ার’ হিসেবে পরিগণিত হয়।

   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;

বিশ্ব পুষ্টি দিবস

আফগানিস্তানে ৩০ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার: বিশ্ব খাদ্য সংস্থা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে ৩০ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতার শিকার বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে। ২৮ মে বিশ্ব পুষ্টি দিবসের প্রাক্কালে সংস্থাটি এ তথ্য প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ব পুষ্টি দিবস উপলক্ষে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা তথ্য প্রকাশ করে জানায়, আফগানিস্তানে বর্তমানে ৩০ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার। এর মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ শিশু ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে।

আফগানিস্তানে আর্থিক ও মানবিক সংকটের কারণে শিশুরা এ সমস্যায় ভুগছে। গত বছর আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা হ্রাসের কারণে অপুষ্টির শিকার হয়ে অনেক শিশু ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিসের নির্বাহী পরিচালক (কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স) অ্যাডাম সেরানো সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, চলতি বছর আফগানিস্তানে ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণসহায়তা দরকার। সেখানে মানবিক বিপর্যয় চলছে।

;

আইসিসি'র বিচারককে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দাপ্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তৎকালীন প্রধান বিচারককে ২০২১ সালের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত বন্ধ করতে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তৎকালীন প্রধান ইয়োসি কোহেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার মঙ্গলবারের (২৮ মে) অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোসাদের এই সাবেক প্রধান কোহেন আইসিসির সাবেক প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদাকে একাধিকবার গোপনে হুমকি দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটি বিশ্বাসযোগ্য। কারণ, ইসরায়েল এবং এর প্রধান পশ্চিমা মিত্ররা আন্তর্জাতিক বিচার সংস্থাগুলোকেশেুরু থেকেই চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে।

বেনামী সূত্রের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে কথিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের জন্য বেনসুদাকে চাপ প্রযোগের জন্য গোপনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কোহেন।

২০২১ সালে শুরু হওয়া ওই তদন্তের ভিত্তিতেই গত সপ্তাহে বেনসুদার উত্তরসূরি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেন।

করিম খান ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ফৌজদারি বিধি মোতাবেক অপরাধী।

এক ব্যক্তি কোহেনের কার্যকলাপ সম্পর্কে বলেছেন, ‘বেনসুদাকে ভয় দেখানো এবং প্রভাবিত করার চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ঘৃণ্য কৌশল ব্যবহার করেছিলেন কোহেন।’

আইসিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেয়ার করা তার জবানবন্দী অনুসারে, কোহেন বেনসুদাকে বলেছিলেন, ‘আপনার উচিত আমাদের সাহায্য করা এবং আমাদের উচিত আপনার যত্ন নেওয়া। আপনি নিশ্চয়ই এমন কোনো ঝামেলায় পড়তে চান না, যাতে করে আপনার বা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’

করিম খান যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহুর পাশাপাশি তিন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি (দেইফ নামেও পরিচিত) এবং ইসমাইল হানিয়াহ-এর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন।

তবে, আইসিসির সদস্য নয় বলে এর এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয় না ইসরায়েল।

বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, আইসিসির অভিযোগ গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বৈধতাকে আরও দুর্বল করেছে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এর সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে।

কিন্তু, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায় থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার চেষ্টা করছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করিম খানের পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পরামর্শ দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নে কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হোয়াইট হাউস।

;