বিশ্বের আলোচিত তিন নেতৃত্ব



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ পরিচালনায় নিজের আদর্শ, যোগ্যতা ও নেতৃত্বের গুণে বিশ্বের ইতিহাসে আলোচিত তিন নেতা হলেন- নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এদের মধ্যে জেসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ায়, জাস্টিন ট্রুডো দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করায় এবং আবি আহমেদ শান্তিতে নোবেল পাওয়ায় বর্তমানে খুবই আলোচিত বিশ্ব ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।

জেসিন্ডা আরডার্ন

পুরো নাম জাসিন্ডা কেট লরেল আরডার্ন। নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটন শহরে ১৯৮০ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। জেসিন্ডার বাবা রস আরডার্ন একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা ছিলেন স্কুল সহকারী। জেসিন্ডা তার বাবার কর্মস্থল মরিন্সভিল ও মুরুপারায় বেড়ে ওঠেন। তিনি মরিন্সভিল কলেজে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি স্কুলের বোর্ড অব ট্রাস্টির শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি ও গণসম্পর্ক বিষয়ে ব্যাচেলর অব কমিউনিকেশন স্টাডিজ (বিসিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন।

স্নাতক শেষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের দফতরে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নীতি-নির্ধারণী উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। ২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সোশ্যালিস্ট ইয়ুথের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডের ৪০তম এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়াও তিনি ২০১৭ সালের ১ আগস্ট থেকে নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ২০১৭ সালে মাউন্ট অ্যালবার্ট ইলেক্টোরেটের সংসদ সদস্য হন তিনি। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের জন্য নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিরীহ মানুষ নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে ভূমিকা জেসিন্ডা আরডার্ন রেখেছেন তা সকলের নজরে আসে। এমন বিতর্কিত বিষয়ে জেসিন্ডার অবস্থান সকল রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য অনুকরণীয়। হামলার শিকার শরণার্থী মুসলিমদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাদের জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন। এমনকি এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

জাস্টিন ট্রুডো

জাস্টিন ট্রুডো কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা পিয়েরে ট্রুডোও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্নাতক শেষে ট্রুডো ভ্যানকুভারের ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জন্ম নেয়া ট্রুডো কলেজ জিন-দ্যে-ব্রেবুফ এ পড়ালেখা করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এবং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে স্নাতক করেন। বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে দেয়া একটি বক্তব্যের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন ট্রুডো।

বাবার মৃত্যুর আট বছর পর ট্রুডো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ২০০৮ সালের ফেডারেল নির্বাচনে হাউজ অফ কমন্সে লিবারেল পার্টির যুব ও সংস্কৃতি বিভাগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব পান। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে ১৮৪টি আসন পেয়ে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করে। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো সরকার গঠন করেছেন তিনি।

গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার বাস্তুহারা মানুষের প্রতি সহায়তায় হাত বাড়ানো, মন্ত্রিসভার ১৫টি পদে নারী নিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইতোমধ্যে উদারপন্থী সরকার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন ট্রুডো।

আবি আহমেদ

ইথিওপিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সম্প্রতি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। এরপর থেকে তিনি বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। মূলত ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সীমান্ত এলাকায় বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করায় তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

২০১৮ সালের ২ এপ্রিল ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে থাকা ইথিওপিয়াতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তিনি। শুরুতেই তিনি জরুরি অবস্থার অবসান, বন্দীদের মুক্তি, বিদেশিদের বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে আলোচনায় আসেন। দুই দশক ধরে চলমান বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসেন তিনি। তারই ফলশ্রুতি শান্তিচুক্তি এবং বিশ বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান হয়।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে আবি আহমেদ আর্মি ইন্টেলিজেন্সের একজন সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি ইথিওপিয়ান পিপল'স রেভ্যুলেশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও অরোমু ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি মিলিটারির ডেপুটি পরিচালকের পদ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই বছর ওরোমো ডেমক্রেটিক পার্টি (ওডিপি) থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন আবি আহমেদ।

পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিরসনে 'রিলিজিয়াস ফোরাম ফর পিস' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে ওডিপির জন্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন আবি আহমেদ। ওই বছরই দ্বিতীয় মেয়াদে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।

২০১৫ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আবি আহমেদ ইথিওপিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে আসেন। টানা তিন বছরের আন্দোলন এবং বিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম পদত্যাগে বাধ্য হন। ইথিওপিয়ার অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। দেশটির চার দল ওডিপি, এডিপি, এসইপিডিএম এবং টিপিএলএফ মিলেই ওই জোট।

হাইলেমারিয়ামের পদত্যাগের পর প্রথমবারের মতো ইপিআরপিএফ জোটের নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট হয়। ওই সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ওডিপি প্রধান লেমা মেগেরসা এবং আবি আহমেদকে এগিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের ১ মার্চ ইপিআরপিএফ'র নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোটে আবি আহমেদ জোট প্রধান নির্বাচিত হন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;