রোহিঙ্গা নিপীড়ন তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা নিয়ে তদন্ত শুরুর অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা। বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তৃতীয় প্রি-ট্রায়াল চেম্বার (আইসিসি বা কোর্ট) প্রসিকিউটরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অনুসারে আইসিসির এখতিয়ারের মধ্যে অভিযুক্ত অপরাধের জন্য তদন্তের কাজ এগিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

এই তদন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে গণ্য হবে। আইসিসি প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তৃতীয় বিচারক ওলগা হেরেরা কার্বুকিয়া, প্রিসাইডিং, বিচারক রবার্ট ফ্রেমর এবং বিচারক জেফ্রি হেন্ডারসন সমন্বিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এই অনুমোদনটি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে করা আইসিসির এখতিয়ারের মধ্যে অভিযুক্ত অপরাধের তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর কর্তৃক ৪ জুলাই ২০১৯ এ জমা দেওয়া অনুরোধ অনুসরণ করেছে।

আইসিসির চেম্বার কয়েক হাজার অভিযুক্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে এই অনুরোধে মতামতও পেয়েছে। আইসিসি রেজিস্ট্রি অনুসারে, ভুক্তভোগীরা সর্বসম্মতিক্রমে জোর দেয় যে তারা আদালতের তদন্ত চায় এবং পরামর্শকৃত অনেক অভিযুক্তকে বিশ্বাস করে যে ‘কেবল ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে যে সহিংসতা ও নির্যাতনের চক্রটিকে শেষ করে দিতে। চেম্বার এই সমস্ত প্রক্রিয়া জুড়ে অভিযুক্ত ভুক্তভোগীদের সহায়তা, দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ দেওয়ার জন্য সমস্ত ব্যক্তি এবং সংস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

চেম্বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও রাষ্ট্রের পার্টির ভূখণ্ডে যখন অপরাধমূলক আচরণে অংশগ্রহণ করে তখন আদালত অপরাধের ওপর এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে। মিয়ানমার স্টেট পার্টি না হলেও, ২০১০ সালে বাংলাদেশ আইসিসির রোমের আইনটি অনুমোদন করেছে। উপলভ্য তথ্যের পর্যালোচনা করার পরে চেম্বার স্বীকার করেছে যে বিস্তৃত এবং / অথবা পদ্ধতিগত সহিংসতা বিশ্বাস করার একটি যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে যা যোগ্য হতে পারে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে নির্বাসিত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত অথবা ধর্মের ভিত্তিতে নির্যাতন হিসাবে। আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করার জন্য চেম্বারের কোনও প্রয়োজন নেই, যদিও এই জাতীয় অভিযোগ প্রসিকিউটরের ভবিষ্যতের তদন্তের অংশ হতে পারে।

কথিত অপরাধের স্কেল এবং অভিযোগে জড়িতদের সংখ্যা উল্লেখ করে চেম্বার বিবেচনা করেছে পরিস্থিতি স্পষ্টতই শেষ সীমায় ঠেকেছে।

তথ্যমতে আনুমানিক ৬ লাখ থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণ করে চেম্বার প্রসিকিউটরের সাথে একমত হয়েছেন যে পরিস্থিতি তদন্ত করা ন্যায়বিচারের স্বার্থে হবে না তা বিশ্বাস করার কোনও যথাযথ কারণ নেই।

ফলস্বরূপ তৃতীয় প্রাক চেম্বার যতক্ষণ না ভবিষ্যতের কোনও অপরাধ সহ যে কোন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত তদন্ত শুরু করার অনুমতি দিয়েছে: যতক্ষণ না
এটি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে থাকে, এটি কমপক্ষে একটি অংশে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে যা বাংলাদেশের অঞ্চল। এটিই যথেষ্ট বা অন্য কোনও রাষ্ট্র দল বা রাজ্য আইসিসির এখতিয়ার গ্রহণের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়বে, বর্তমান সিদ্ধান্তে বর্ণিত পরিস্থিতির সাথে এটি যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে এবং বাংলাদেশ বা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্টেট পার্টির জন্য রোম সংবিধি কার্যকর করা দিনক্ষণ এখানে ধরা হবে না।

আইসিসির অনুমোদনের পর তদন্ত দল কিভাবে কাজ করবে:

প্রসিকিউটর অফিস স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে শুরু করবে। তদন্তটি প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে যতদিন প্রয়োজন হতে পারে। যদি নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা অপরাধমূলক দায় বহন করে তা প্রমাণ করার জন্য যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়, তবে প্রসিকিউটর তদন্তের পূর্ব চেম্বারের তৃতীয় বিচারকদের উপস্থিত থাকার জন্য তলব করা বা গ্রেফতারের পরোয়ানা জারির আবেদন করবেন। আইসিসি চেম্বার জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের কাছে রয়েছে। রোম সংবিধিতে রাষ্ট্রপক্ষ আইসিসির সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে আইসিসির সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে এবং স্বেচ্ছাসেবক ভিত্তিতে এটি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;