পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ/ছবি: সংগৃহীত

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগেই পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। আস্থা ভোটের ঠিক আগের দিন এমন ঘোষণা দিলেন তিনি। এর আগে বেলা ৩টায় উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার পদত্যাগ করেন। 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

এ নিয়ে দেবেন্দ্র  সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রথমদিন থেকেই বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা কোনও 'ঘোড়া কেনাবেচা'য় যুক্ত থাকব না। আমরা সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ এনসিপি আমাদের সঙ্গে ছিল। যখন অজিত পাওয়ার পদত্যাগ করেছেন, তখন আমিও পদত্যাগ করব।

তিনি আরও বলেন, মানুষের রায় অনুযায়ী, আমরা সরকার গঠনে চেষ্টা করেছিলাম। তবে শিবসেনা মনে করেছে, এটা সংখ্যার খেলা।

দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেবেন্দ্র।

মহারাষ্ট্রে দলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পদত্যাগ করা উচিত, নাকি আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠক হয়।

এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) হঠাৎ করেই শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার। সেই সরকার গঠনকে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে দেবেন্দ্রকে এমন রায় দেন সুপ্রিমকোর্ট। এমনকি দ্রুত প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করে আস্থাভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেন আদালত। 

আদালতের এমন আদেশে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হকচকিয়ে গিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা তা নিয়ে এখন আলোচনার ঝড় উঠেছে ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

   

দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু ব্যয়ের স্বচ্ছতার তাগিদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু সহায়তার অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রদর্শনের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতা গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুখতার বাবায়েভ।

তিনি বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলিকে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়, তাদেরকে অবশ্যই এসব অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ হিসাব প্রদর্শন করতে হবে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতৃত্ব দেবেন আজারবাইজানের পরিবেশ মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বিষয়ে তাদের অগ্রগতি এবং জলবায়ু সংকটে তাদের ব্যয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সব পক্ষগুলোর মধ্যে একটি সঠিক, ভালো এবং সৎ বিশ্বাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশে স্বচ্ছতা প্রক্রিয়া তৈরি করা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য বাকুতে কপ২৯-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থ সরবরাহের জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্মেলন ঘিরে আফ্রিকার কয়েকেটি দেশের সরকার ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাবায়েভ বলেন, দরিদ্র দেশগুলোতে তাদের গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার পরিকল্পনা আপডেট করতে সাহায্য করার জন্য বড় অঙ্কের প্রয়োজন হয়। এ জন্য জলবায়ু ব্যয়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা উন্নত করার প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ত্রিভুজের মতো। প্রথমত, স্বচ্ছতা। এটা দলগুলোর মধ্যে আস্থা। পরবর্তী, অর্থ. পরবর্তী, এনডিসি। আজ আমরা এই ত্রিভুজটির দিকে তাকিয়ে আছি।

স্বচ্ছতা বা স্পষ্ট অর্থনৈতিক হিসাব বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়গুলির মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনেক দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কম কাজ করে, অনেকে অর্থ ব্যয়ের সঠিক হিসাব আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের কাছে হিসাব জমা দিতেও অনিচ্ছুক।

স্বচ্ছতার অভাব কীভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক এনার্জি সংস্থা ২০২২ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, গ্রীনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমনের হার দরিদ্র দেশগুলির তুলনায় শক্তিশালী দেশে ৭০ শতাংশ বেশি ছিলো।

জলবায়ু অর্থ ব্যয় গোপনীয়তায় আবদ্ধ এবং স্থূল বিকৃতির সাপেক্ষে: গত বছর রয়টার্সের একটি তদন্তে দেখা গেছে, ইতালি এশিয়ায় আইসক্রিমের দোকান খুলতে সহায়তা করেছে এবং জাপান বাংলাদেশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থ সরবরাহ করেছে এবং একটি জলবায়ু অর্থায়নের ছদ্মবেশে মিশরে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

২০১৫ প্যারিস চুক্তি অনুসারে সব দেশকে অবশ্যই নতুন স্বচ্ছতা প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। উন্নত দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে তাদের প্রথমে প্রতিবেদন জমা দেওয়া কথা বলা হয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা এই বছরের শেষ পর্যন্ত।

বাবায়েভ উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোকে দ্রুত তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি চান আগামী ১১ নভেম্বর থেকে কপ-২৯ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই যেন এসব দেশ তাদের প্রতিবেদন জমা দিক। যদি দরিদ্র দেশগুলো স্পষ্টভাবে তাদের স্বচ্ছতা দেখাতে পারে অর্থাৎ তারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর চেষ্টা করছে, জলবায়ু সংকটের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তাহলে উন্নত দেশগুলো তাদের কাছ থেকে জলবায়ু অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য কম অজুহাত পাবে।

বাবায়েভ বলেন, যদি এসব দেশ তাদের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছ চিত্র জমা দেয়, তবে এটি উন্নত বিশ্বের জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য একটি খুব ভাল যুক্তি হবে। আমরা আন্তঃসংযোগকারী হতে চাই।

আজারবাইজান তেল এবং গ্যাসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা দেশের রপ্তানির ৯০ শাতাংশেরও বেশি এবং রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি। বাবায়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উত্পাদকদের কপ-এ মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সমস্ত দেশকে, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় একসাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই, ভাবতে চাই কিভাবে আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ ইতিমধ্যেই দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সাহায্য করছে। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ভিত্তিতে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের সবুজ পরিবর্তনের জন্য বিনিয়োগ করছে।

আজারবাইজানের প্রধান আলোচক ইয়ালচিন রাফিয়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারীরা সমস্যার একমাত্র উৎস হিসেবে চিহ্নিত হতে চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য খাত যেমন পরিবহনও কার্বন নির্গমনের বড় উৎস।

তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানী দেশগুলোকে আমি বৈধ উদ্বেগ বলে মনে করি। এদের দূষণকারী হিসাবে চিহ্নিত হতে চাই না।

;

জামিন পেলেও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না কেজরিওয়াল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আবেদনের শুনানিতে ইডির প্রতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয় বলে মঙ্গলবারের (৭ মে) শুনানিতে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।

এই বেঞ্চ ইডিকে বলেছেন, ‘অধিকার থেকে কাউকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।’

শীর্ষ আদালত আরও বলেছেন, ‘কেজরিওয়াল একজন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনো সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। তারপর থেকে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। তার গ্রেফতারকে বেআইনি দাবি করে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার আইনজীবীরা।

কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা চলতি মাসের শেষ দিকে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন আপ প্রধান।

গত শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ মন্তব্য করেছিল যে, ‘লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

আদালত আরও মন্তব্য করেছিল, ‘গ্রেফতারের বিরুদ্ধে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানির জন্য সময় লাগতে পারে।’

তাই আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কথা ভাবতে পারে। তারপর থেকেই কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

মঙ্গলবার শুনানির সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের প্রসঙ্গ তুলে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেজরিওয়ালের মুক্তি গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ তখন জানায়, তারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন শুনবেন। কারণ, কেজরিওয়াল একজন জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে তার।

তখন কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, ‘ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার কেজরিওয়ালকে জামিন দিলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তদন্তের স্বার্থে ছয় মাসে তাকে নয়বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি একবারও হাজিরা দেননি।’

তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘দেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে, আমরা কখনই তা উপেক্ষা করতে পারি না।’

;

চীনে হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত, আহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ইউনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন।

মঙ্গলবার (০৭ মে) স্থানীয় সময় ১১টা ৩৭ মিনিটে দেশটির ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং পিপলস হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

দেশটির স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে কালো পোশাকে এক ব্যক্তি দুই হাতে ছুরি নিয়ে ঘুরছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি জেনসিয়ংয়ের পোজি শহরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এর আগে ২৩ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ২১ জনের কথা উল্লেখ করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা দ্য পেপারকে জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও বেশ বিশৃঙ্খল, তারা এখনও আহতের সংখ্যা নির্ধারণ করছে। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে।

চীনা নিউজ আউটলেট হংজিং নিউজেরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে বলেছে এবং অপরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

;

চিকিৎসার খবর বহন করতে না পারায় অসুস্থ স্ত্রীকে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে এক মার্কিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হাসপাতালে অসুস্থ স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার শিকার নারীর স্বামী পুলিশকে বলেছেন, চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারায় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিসৌরির ইন্ডিপেন্ডেন্সের সেন্টার পয়েন্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের কর্মীরা আইসিইউতে ওই নারীর উপর হামলার সন্দেহে একজন ​পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

জ্যাকসন কাউন্টির প্রসিকিউটর জিন পিটার্স বেকারের মতে, হত্যার দিন ওই নারী ডায়ালাইসিসের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন।

প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন যে, ওই নারী হাসপাতালের বিছানায় থাকাকালীন তার স্বামী রনি উইগস তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

খবর পেয়ে যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে, তখন ওই নারীর কোনও পালস ছিল না। তখন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মস্তিষ্কের কার্যকারিতার কোনো লক্ষণ না থাকায় পরে তার লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্ত্রীকে হত্যা করার কথা উইগসকে স্বীকার করতে শুনেছেন বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। অনুশোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাকে শ্বাসরোধ করেছি। আমি তাকে হত্যা করেছি।’

উইগসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্স।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন যে, তার স্ত্রীর ডায়ালাইসিস সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। সেটি ব্যয়বহুল বিধায় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

তিনি পুলিশকে আরও বলেছেন, স্ত্রীর চিৎকার থামাতে তিনি তার নাক ও মুখ বালিশে চেপে ধরেছিলেন।

উইগস স্বীকার করেছেন যে, তিনি বাজে আর্থিক অবস্থা এবং হতাশার সঙ্গে লড়াই করছেন, যার ফলস্বরূপ তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।

উইগস এটাও স্বীকার করেছেন যে, অতীতেও হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় স্ত্রীকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

;