হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ হাজার পেট্রোল বোমা উদ্ধার
হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে চার হাজার পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুদিন ধরে পরিষ্কার অভিযান চালানোর সময় এ বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা তিন হাজার নয়শ ঊননব্বইটি পেট্রোল বোমা, এক হাজার তিনশ উনচল্লিশটি অন্য বিস্ফোরক দ্রব্য, রাসায়নিক তরল পদার্থ ভর্তি ছয়শ একটি বোতল ও পাঁচশ তিয়াত্তরটি অস্ত্র পেয়েছে।
দু সপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলো সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখে। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা ইট, পেট্রোল বোমা, তীর-ধনুক দিয়ে পুলিশের মোকাবেলা করে।
পুলিশের আগ্রাসী অবস্থানের মুখে টিকতে না পেরে অনেকে নিজেদেরকে পুলিশের হাতে সপে দেয়। আবার অনেক পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) পুলিশ জানায়, পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় এক হাজার তিনশ সাতাত্তর জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটশ দশজনকে আটক করা হয় ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময়। বাকিদের আটক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে। আটকদের মধ্যে তিনশ আঠারো জনের বয়স আঠারো বছরের কম।
গত জুন থেকে হংকংবাসী আন্দোলন করে আসছে। তাদের এ আন্দোলন মূলত রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত অভিযুক্ত বা অপরাধী প্রত্যাবাসনের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে। চীন সরকার চায়, হংকংয়ে যারা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হবে, তাদের মূল চীনে (মেইনল্যান্ড চীন) পাঠিয়ে দিতে। চীনের এ সিদ্ধান্ত হংকংয়ের বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার চেষ্টা বলে মনে করেন হংকংবাসী।
পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের কয়েকদিন পর ২৪ নভেম্বর হংকংয়ের স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৮টি আসনের ১৭টিতেই জয় পায় তারা।