ওআইসিকে দুষছে মিয়ানমার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে সু চি ও তার দল/ছবি: বার্মিজ এশিয়া

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে সু চি ও তার দল/ছবি: বার্মিজ এশিয়া

মিয়ানমারের পক্ষে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) লড়ছেন ক্রিস্টোফার স্টকার নামক একজন আইনজীবী। তিনি লন্ডন ভিত্তিক ৩৯ অ্যাসেক্স চেম্বারের ব্যারিস্টার। গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মিয়ানমার পক্ষের এই আইনজীবী তার পুরো বক্তব্যে গাম্বিয়া ও ওআইসির ভূমিকা ব্যাখ্যা করেছেন।

স্টকার বলেন, গণহত্যার এই অভিযোগ আনার পেছনে মূল চালিকাশক্তি গাম্বিয়া নয়। গত সেপ্টেম্বরে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার কথা বলেননি। ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার কথা বলা হয়েছে। এতে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে তাও বলা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

স্টকার ওআইসির ঢাকা সম্মেলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সেখানে গণহত্যা নয়, ব্যবহার করা হয়েছিল জাতিগত নির্মূল। তিনি তার পুরো বক্তব্যে এটিই বুঝাতে চেয়েছেন যে, গাম্বিয়া নয় বরং অভিযোগ এনে মামলাটি করেছে ওআইসি। নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদালতে জোটবদ্ধ হয় মামলা করা যায় না। তাই গাম্বিয়া আইসিজের নিয়ম-নীতিকে ফাঁকি দিতেই ওআইসির পক্ষে এককভাবে মামলা করেছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। আইসিজেতে অভিযোগকারী গাম্বিয়ার দেওয়া তথ্যকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্টকারের পর আইনজীবী মি. ফোবে ওকোয়া বলেন, মিয়ানমারে কোনো গণহত্যার ঝুঁকি রয়েছে এমন কথা বাংলাদেশই বলছে না। আরেক আইনজীবী অধ্যাপক স্ক্যাবাস গাম্বিয়ার দেওয়া গণহত্যা সনদের ব্যাখ্যাকে ভুল বলে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার আইসিজেতে ১৭ জন বিচারপতির উপস্থিতিতে প্রথম দিনের শুনানি হয়। প্রথম দিনে অভিযোগকারী দেশ গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু মানবতাবিরোধী নৃশংসতার অভিযোগগুলো তুলে ধরেন।

শুনানির শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকালে গাম্বিয়া ও বিকেলে মিয়ানমার যুক্তি খণ্ডন করার সুযোগ পাবে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া গত ১১ নভেম্বর দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করে।