সুপার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলো রাশিয়া
সুপার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দেশ রাশিয়া। যা দুই মেগাটন ওজন পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রথম পর্যায়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েন করা হয়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে এ খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েনের ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হয়েছে। তবে কোথায় এগুলো মোতায়েন করা হয়েছে তা এখন নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
অ্যাভানগার্ড নামে নতুন মিসাইলটি একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আর এতে একটি হাইপারসোনিক গ্লাইড রয়েছে।
এর আগে পুতিন বলেন, নতুন প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দ্রুততা শব্দের থেকে ২০ গুণ বেশি। যা আমাদের অন্য সবার থেকে অধিক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলে আঘাত হানতে সক্ষম, এমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। আর ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরোধ করা অসম্ভব।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা।
অ্যাভানগার্ড সম্পর্কে পেন্টাগন এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, রাশিয়ার দাবির মত ক্ষমতাধর নয় অ্যাভানগার্ড। চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত কংগ্রেসনাল রিসার্চে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালের দিক থেকে একই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।
আর চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর রাশিয়া থেকে বলা হয়, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা ২০১০ সালের চুক্তি অনুসারে অ্যাভানগার্ডের মত আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়া একটি অ্যাভানগার্ড পরীক্ষা করেছে, তবে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।
রাশিয়ান গবেষকরা জানায়, অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রটি নতুন জটিল উপকরণ ব্যবহারে তৈরি যা দুই হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। আর এটি বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে শব্দের চেয়ে বহুগুণ বেশি দ্রুতি গতিতে ছুটতে পারে।
আর এর দ্রুততার ফলে রাডার দিয়ে প্রাথমিকভাবে এটি সনাক্ত করা যাবে না বলে জানিয়েছে গবেষকরা।