রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমার: আইসিজে
রোহিঙ্গা গণহত্যা: আইসিজের আদেশমিয়ানমার রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আদালত সিদ্ধান্ত দেন, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য রোহিঙ্গা নির্যাতনে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করতে আইসিজে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে মিয়ানমারের দাবি নাকচ করেছেন বিচারক।
আইসিজের বিচারক বলছেন, জেনোসাইড কনভেনশনে কোনো রাষ্ট্রই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এ মামলায় মিয়ানমার অসহযোগিতা করেছে।
এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে বলেও জানিয়েছেন আইসিজে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিদ্ধান্ত পড়তে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এ আবেদনের বিষয়ে বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সিদ্ধান্ত জানান।
আদালত জানান, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য। সনদের সংশ্লিষ্ট ধারা ৮ ও ৯ এর আওতায় এই মামলা দায়েরের গাম্বিয়ার প্রাইমা ফেসি অধিকার। এ বিষয়ে মিয়ানমারের আদালতে আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গাম্বিয়া নিজ উদ্যোগে এই আবেদন করেছে। এরপর তারা ওআইসিসহ যেকোনো সংস্থা ও দেশের কাছে তারা সহযোগিতা চাইতে পারে। তাতে মামলা করার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে। মিয়ানমার গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের মাধ্যমে "রোহিঙ্গাদের একটি দল হিসাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে" "গণহত্যা" করেছে বলে অভিযোগ করে মামলায়।
গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার।
আদালত বলেন, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশটিতে বসবাস করছেন। ১৯৮২ সালে একটি নাগরিক আইনের আওতায় পড়ে নাগরিকত্ব হারান তারা।