ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান আরব লীগের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জরুরি বৈঠকে আরব লীগ, ছবি: আলজাজিরা

জরুরি বৈঠকে আরব লীগ, ছবি: আলজাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে আরব লীগ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিশরের রাজধানী কায়রোতে জরুরি বৈঠকের পর আরব লীগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আরব লীগের এক জরুরি বৈঠকের জন্য অনুরোধ জানান। তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোকে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

শনিবার এক বিবৃতিতে আরব লীগ জানায়, এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি জনগণের নূন্যতম অধিকার এবং আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করে না। সেই বিবেচনায় আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রস্তাবনাকে প্রত্যাখ্যান করছি।

আরব লীগের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মার্কিন প্রশাসনকে সহযোগিতা না করার জন্যও সম্মত হয়েছেন। এসময় তারা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পূর্বে সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি জোর দেন। এছাড়া পূর্ব জেরুজালামকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার জন্য আহ্বান জানান তারা।

বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস জানান, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাকে বলেছিলেন যে ট্রাম্প আমাকে পড়ার জন্য শতাব্দীর সেরা চুক্তিটি প্রেরণ করতে চান। কিন্তু আমি তাদের না করে দিয়েছি। ট্রাম্প আমাকে ফোনে কথা বলার জন্য জিজ্ঞাসা করেছিল। কিন্তু আমি তাকে না করে দেয়।

আরও পড়ুন: ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি’ পরিকল্পনা প্রকাশ ট্রাম্পের

১৯৪৮ সালের পর থেকে চার ধাপের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের ভৌগলিক হ্রাসের মানচিত্র প্রদর্শন করে আব্বাস বলেন, আমি আপনাদের যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানায় যদি আপনারা আমাদের মানচিত্রে খুঁজে পান তাহলে দেখান। আপনি যদি প্রথম শ্রেণীর একটি শিশুকেও ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মানচিত্র আঁকতে বলেন সে জানবে না কীভাবে তা করতে হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সমস্ত সুরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করবো এবং আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি তাদের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকছে না।

এদিকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার কাছে ফিলিস্তিন যাবে বলে জানান আব্বাস।

বৈঠকের আগে বুধবার আরব লীগের প্রধান আহমেদ আবুল-গেইত বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বৈদেশিক নীতির তীব্র পরিবর্তন প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে কোনও শান্তি কিংবা সমাধান আসতে পারে না। ফিলিস্তিনিরা মার্কিন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য তিনি ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ১৮১ পৃষ্ঠার এই প্রস্তাবনাটি প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া সেখানে আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ওমানের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও মিশর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকটতম মিত্র হিসেবে পরিচিত। তারা ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তারা প্রস্তাবনাটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে মন্তব্য না করেই নতুন করে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ষড়যন্ত্র: আব্বাস

   

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে। তবে, ওই প্রতিবেদনে হেলিকপ্টারের আরোহী প্রেসিডেন্ট রাইসি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়া গেছে বলে অসমর্থিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

;

ইরানকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রবিবার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব বলেছে, ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্বেগের সঙ্গে এই বিধ্বস্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ।

এদিকে ইরাক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুসন্ধান মিশনে প্রতিবেশী ইরানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রবিবার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর ইরানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাইসির জন্য শঙ্কা বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, কাতারও বলেছে যে, ইরানের অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য তারা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা ইরানকে হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ম্যাপিং পরিষেবা সক্রিয় করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

;

ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাবরিজ যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর পর ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদুরি ঝারোমি।

রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আলী বাহাদুরি ঝারোমি লিখেছেন, ‘আজ (রবিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এর পর এক্সিকিউটিভ ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হন।’

উল্লেখ্য, রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর পর অন্তত দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও প্রেসিডেন্টের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী হলো তাবরিজ শহর।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

;