ভারতে দ্রুত হারে কমছে পাখির সংখ্যা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

বিগত কয়েক দশকে ভারতের বেশিরভাগ পাখির সংখ্যা দ্রুত হারে হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক দ্যা স্টেট অফ ইন্ডিয়ান বার্ডস'র এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আর যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ১৫ হাজারের বেশি পাখি পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন করা হয়। পাখি পর্যবেক্ষকরা ৮৬৭টি প্রজাতির পাখির অবস্থার ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

দ্যা স্টেট অফ ইন্ডিয়ান বার্ডস'র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঈগল, শকুন, গায়ক পাখি ও জলজ পরিযায়ী পাখির পরিমাণ সর্বাধিক পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া স্থানীয় চড়ুই পাখির পরিমাণ পুরো ভারতজুড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে নগরায়নের ফলে বড় বড় শহরগুলোতে এর পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সমীক্ষায় পাখির সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনে শিকার, দূষণ, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এবং আবাসস্থল কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যুতের লাইন পাখিদের জন্য একটি বিরাট হুমকি বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সমীক্ষায় গত ২৫ বছর ও সর্বশেষ পাঁচ বছরের পাখির জনসংখ্যা হ্রাসের তুলনা করা হয়।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা প্রকৃতি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাদুসুদান বলেন, দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা মূল্যায়নে কেবল ২৬১টি পাখির প্রজাতির তথ্য পাওয়া গেছে। দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা মূল্যায়নে পাখির পরিমাণ ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর স্বল্পমেয়াদের ক্ষেত্রে ১৪৬টি প্রজাতির তথ্য পাওয়া গেছে। যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

পেশাদার পাখি পর্যবেক্ষকের এক কোটি পর্যবেক্ষণের নোট ও তথ্য চিত্রের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ই-বার্ড, বিশ্বের পাখির তথ্য ও বর্তমানে পাখির তথ্যের ওপর ভিত্তি করেও এই সমীক্ষার কাজ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯০ সালের পর থেকে শকুন, বাস্টার্ড পাখি ও তৃণভূমিতে চলাচলকারী অন্যান্য পাখির পরিমাণ ক্রমাগতভাবে কমেছে। এছাড়া গ্রিন মুনিয়া পাখি ব্যাপকহারে কমেছে। এছাড়া রাইনোপটিলাস বিটারকোয়াটাস'র মত বিপন্ন পাখিকে ২০০৮ সালের পর থেকে আর দেখা যায়নি।

তবে এত খারাপের মধ্যেও কিছু ভাল খবর এসেছে সমীক্ষায়। বিপন্ন বনের পেঁচা পাখিকে আগের তুলনায় বেশি স্থানে দেখা গেছে বলে সমীক্ষায় জানা যায়।