লকডাউনের শেষ কবে?
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে স্থবির গোটা বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে এ অচলাবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছে ঘরবন্দি মানুষেরা। কবে পুনরুদ্ধার হবে এই বন্দিজীবন এ নিয়ে শঙ্কিত বিশ্ববাসী। কতদিন ধরে চলবে এই লকডাউন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকমাস অথবা কয়েকবছর চলমান থাকতে পারে লকডাউন।
রোববার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অথবা ওষুধ আবিষ্কার করা যাবে না ততদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে এই লকডাউন।
অধ্যাপক গ্রেহাম মেল্ডলি বলেন, এই ভাইরাসটি এতটাই বাজে যে আমরা এখন সবকিছু বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। এটি আমাদের ঘরের এক কোণে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন থাকে এরপর আমরা কি করব?
তিনি বলেন, প্রায় কয়েক সপ্তাহের লকডাউন চলছে বিশ্বজুড়ে। এখন সম্ভবতই প্রশ্ন আসে লম্বা এ বন্ধে বয়োজ্যেষ্ঠদের বাঁচাতে গিয়ে আবার শিশুদেরকে দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছি নাতো।
লকডাউন পরবর্তী সময়টাও কি আগে মতো হবে এটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এখন লকডাউনের মধ্যে থাকলেও আমরা একে অপরের থেকে দূরত্ব রেখে চলাফেরা করছি। বন্ধ রাখা হয়েছে সামাজিক সকল কার্যক্রম। স্কুল-অফিস-যানবাহন সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ লকডাউন শেষে কী সবকিছু আগের মতো হবে? নাকি অফিসে আমরা দূরত্ব রেখে চলব? হয়তবা হাত ধোঁয়া, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় আরও বেশি মনযোগী হব আমরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থা মোকাবিলায় অবশ্যই ব্যক্তি সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অসুস্থ হলে লুকিয়ে না থেকে অথবা পালিয়ে না বেড়িয়ে নিজে গিয়ে ডাক্তারকে জানাতে হবে। তাহলে নিজে বাঁচা যাবে সঙ্গে অন্যদেরকেও বাঁচানো যাবে।
আর সবার আগে প্রয়োজন এটা জানানো যে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়। এ থেকে সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ চীনের উহানের কথা বলা যেতে পারে। ইতোমধ্যে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সীমিত আকারে হোটেল, শপিংমল, অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে।
আর শেষমেশ প্রতীক্ষা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ আবিষ্কারের।